বুধবার ১ মে, ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১

কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ঝুঁকিতে হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

সিলেট প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট  

কুশিয়ারা নদী ভাঙনে ঝুঁকিতে হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে উপজেলার উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত নদীর তীরবর্তী জনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলো। নদীর অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হাটবাজার,একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের কামালপুর মৌজার আওতাধীন ভেলকোনা এলাকায় কয়েক বছর আগে বালুমহাল তৈরি করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে বালুমহাল ইজারা প্রদান করে। ইজারাদাররা একাধিক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। দু-এক বছর ধরে আইনি জটিলতার কারণে বালুমহাল ইজারা দেয়া বন্ধ থাকলেও কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ড্রেজার দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকে।


স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নদীতে যত্রতত্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর ভাঙনে উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের মানিকোনা, ভেলকোনা, গয়াসি গ্রামসহ একাধিক গ্রাম নদীভাঙনের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে-মানিকগঞ্জ বাজার, মানিকোনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মানিকোনা সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি।

সরেজমিন মানিকোনা, ভেলকোনা ও গয়াসি এলাকা ঘুরে দেখা যায় নদী ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র। কুশিয়া নদীর ভেলকোনা এলাকায় বিরাট আকারে ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী অনেক জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেয়ে। নতুন করে জমিগুলোতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ভেলকোনা থেকে গয়াসি এলাকা পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেলকোনার উজানে মানিকোনা এলাকাতেও নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মানিকোনা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা, এতিমখানা, মসজিদসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি মাত্র কয়েকশ ফুট দূরে রয়েছে। ভাঙনরোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে ঝুঁকিতে থাকা এ প্রতিষ্ঠানগুলো।
ভেলকোনা গ্রামের বাসিন্দা আছাদ আলী,মজিদ মিয়া, টিপু সুলতান, আবু তালেব,হেকিম মিয়া,বলেন, নদীভাঙনরোধে ব্যবস্থা না দিলে ভেলকোনা, গয়াসি ও মানিকোনা গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ভেলকোনা গয়াসি ও মানিকোনার উজান থেকে যত্রতত্রভাবে ড্রেজার দিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীর এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও এলাকা ঘুরে গেছেন।


এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুরে জান্নাত ‘সংবাদমেইলকে’ বলেন, নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে।

সংবাদমেইল২৪.কম/এন আই/এনএস


Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৪:৪৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত