শুক্রবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা

স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট  

কুলাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা

কুলাউড়ায় শতাধিক বছরের দখলীয় বসতভিটা থেকে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা চলছে। পাক বাহিনীর সহযোগি একটি পরিবার এই ষড়যন্ত্র করছে বলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দাবি। তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও ওই মুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সিরাজ মিয়া একজন সরকারি ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতা মরহুম আব্দুর রহিম সহ বংশধরেরা যুগ যুগ ধরে পাবই মৌজার ৪১২১ দাগ সহ বিভিন্ন দাগে ৬.২৫ একর ভূমি ভোগ দখল ও ব্যবহার করে আসছেন।


১৯৫৬ সালে প্রজা স্বত্ব আইনে জমি জরিপ শুরু হলে জরিপে আসা লোকজন তাদের বাড়িতে থাকার সুবাদে একটি প্রভাবশালী পরিবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসতবাড়িসহ এই জমি তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়।

৬০ ইংরেজির পর্চা বের হলে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়ার বাবা আব্দুর রহিম গং রেকর্ড ফিরে পাওয়ার জন্য এসটিএক্ট এর ১৪৩ ধারার বিধান মতে মৌলভীবাজার দ্বিতীয় মুন্সিফি আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা (মিস কেইস নম্বর-৫৭/১৯৬৯) দায়ের করেন।


দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৯৭০ সালে বিজ্ঞ আদালত বাদীর রেকর্ড সংশোধনের আবেদন সঠিক এবং সে আলোকে রেকর্ড সংশোধনের আদেশ দেন। আদালতের আদেশক্রমে ভূমি অফিসের মিস কেইস নম্বর ১৯৪/৭২-৭৩ এর আলোকে রেকর্ড সংশোধন করে তাদেরকে বিভিন্ন দাগে ৬.২৫ একর জমির পর্চা (মৌজা পাবই, জে এল ১২৬ , খতিয়ান -৬৭১) দেয়া হয়।

মুক্তিযোদ্ধা জানান, একই এলাকার (স্থানীয়ভাবে পাকিস্তানী বাড়ি নামে পরিচিত) মো. বদরুল ইসলাম গংরা মার্কেট বানানোর জন্য রাস্তার পাশের ওই ৭ শতাংশ জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। বিনিময়ে আমি যা চাইবো সে পরিমাণ টাকা দিবেন।


কিন্তু আমার বসবাসের আর জমি না থাকায় আমি এই প্রস্তাবে রাজি হইনি। সেই থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বদরুলের স্ত্রী এমরানা বেগম এবং তার বোন পিয়ার বেগম বাদি হয়ে আমার ভাই ভাতিজা এমনকি নাবালক শিশু ও ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় মামলা (নং-২৩ তাং-২৩/১১/১৯) করেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয় জানতে এমরানা আক্তারের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তা রিসিভ করেন পিয়ারা বেগম। তিনি জানান, রাত্রে যখন ঘটনা ঘটে আমি বলতে পারিনা। পরদিন সকালে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে গেলে সিরাজ মিয়ার পরিবারের লোকজন তার উপর হামলা চালায়।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের ও হামলার অভিযোগ রয়েছে। বাদি আহতের ঘটনা সঠিক কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত