চীফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
সরকারি ছুটি, সাধারণ ছুটি ও সুপ্রিম কোর্টের অবকাশসহ ৩৯ দিনের ছুটি শেষে এক মাসের ছুটিতে গেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তার দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্যতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রধান বিচারপতির ছুটি মঞ্জুর ও আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের জন্য দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন ছুটি মঞ্জুরের বিষয়ে অনুমোদন প্রদান করেছেন এবং প্রধান বিচারপতি ছুটি ভোগকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রবীণতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চের বিচারিক কর্যক্রম শুরু হয়।
এক মাসের অবকাশসহ ৩৯ দিনের ছুটি শেষে সুপ্রিম কোর্ট খুলেছে মঙ্গলবার। খোলার দিনেই প্রধান বিচারপতি সিনহাকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
আর এদিনেই একমাসের ছুটিতে গেলেন আর মাত্র চার মাস মেযাদ থাকা সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন এনেছিল বর্তমান সরকার। হাই কোর্ট ওই সংশোধন বাতিলের পর আপিল বিভাগও একই রায় দেন।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি জাতীয় সংসদ ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করেছেন বলে অভিযোগ তোলে আওয়ামী লীগ। বেশ ক্ষুব্ধ হন ক্ষমতাসীন জোটের নেতা ও সংসদ সদস্যরা। কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীও ওই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যেই এসকে সিনহা আদালতে শুনানিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করে সে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, “বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছে।”
এর পর নতুন মাত্রা পায় সমালোচনা। এর পর এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাকে ‘মিসকোট’ করে প্রকাশিত বক্তব্যের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।”
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরুর আগে গত ২৪ আগস্ট শেষ অফিস করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
অবকাশের মধ্যেই ১০ সেপ্টেম্বর তিনি দুই সপ্তাহের জন্য বিদেশ সফরে গেলে তার অবর্তমানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তার এ মেয়াদ শেষ হবে।
সংবাদমেইল/জেএইচজি
Posted ২:৩২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.