বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাসিরপুরের বাগানবাড়ির জঙ্গি আস্তানায় ৭-৮ জন জঙ্গির ছিন্নভিন্ন মরদেহ পড়ে আছে। এরা সকলেই আত্মঘাতি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
নাসিরপুরের ওই বাগান বাড়িতে জঙ্গিদের আস্তানার খবর পাওয়ার ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি দমন করা হলো।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট যৌথভাবে ‘অপারেশন হিটব্যাক’ নামে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন মনিরুল ইসলাম।
(মার্চ ৩০) বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলের কাছেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনে প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি (উপ মহাপরিদর্শক) কামরুল আহসান ও অন্যান্য সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা।
মনিরুল বলেন, জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়ার পর থেকে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বাড়িতে আটকে রাখা হয় জঙ্গিদের। পরে অত্যন্ত কৌশলে পরিকল্পনামাফিক অভিযান চালিয়ে তাদের দমন করা হয়। জঙ্গিরা আত্মঘাতি হলেও, তারা বাড়িটির বিভিন্ন স্থাননে আইইডি ও অন্যান্য বিস্ফোরক বসিয়ে রেখেছে বলে জানান তিনি। সেসব বিস্ফোরক শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এরপর অতি সতর্কতায় সে বাড়িটিতে ঢুকে ছিন্নভিন্ন মরদেহগুলো দেখা যায়। নিহত জঙ্গিরা নব্য জেএমবির বলেও ধারণা প্রকাশ করেন তিনি। ভেতরের হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে কি না সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে সাংবাদিকদের জানান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভেতরের দেহগুলো ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কোথাও তাদের হাত পড়ে আছে। কোথাও তাদের পা পড়ে আছে। এজন্য তাদেরকে এই মুহূর্তে আলাদাভাবে শনাক্ত করা মুশকিল। তবে মাংসপিন্ড ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখে আমাদের মনে হয়েছে ৭-৮ জন জঙ্গি এ ঘ্টনায় নিহত হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতেই জঙ্গিদের কব্জা করে ফেলেন অভিযানকারীরা। পরে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। ধারানা করছি, পালাবার কোনো পথ নেই জেনেই জঙ্গিরা আত্মঘাতী হয়েছে।
মনিরুল আরও বলেন, আতিয়ামহলে অভিযানের সময় গত শনিবার সংঘটিত জোড়া বিস্ফোরণের সূত্র ধরেই কাউন্টার টেরোরিজম এর গোয়েন্দারা এই আস্তানার সন্ধান পায়। ওই বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন ৪৪ জন। এছাড়া নাসিরপুরের এই আস্তনাটিকে জঙ্গিরা নিজেদের ‘হাইডআউট’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো বলেও জানান।
এদিকে নাসিরপুরের অভিযান শেষ হওয়ার পর এখন সোয়াট টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার পৌরশহরের বড়হাটে অবস্থিত অন্য জঙ্গি আস্তানার যাচ্ছেন বলে জানান মনিরুল।
সংবাদমেইল২৪.কম/এস ইউ/এনআই
Posted ৬:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.