শনিবার (১৩ নভেম্বর) কলম্বোয় বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
ম্যাচের তখন ১০তম মিনিটেই অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া মালদ্বীপের অর্ধে লম্বা থ্রো করেন। এতে করে বক্সের মধ্যে জটলা তৈরি হয়। উভয় দলের ডিফেন্ডাররা হেডের জন্য লাফালেও বল পাননি। ফাঁকা জায়গায় বল ড্রপ করে জামাল ভূইয়ার কাছে গেলে বাংলাদেশ অধিনায়ক ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ভুল করেননি।
গোল পেয়ে বাংলাদেশ যখন উল্লাস করছে তার আগেই সহকারী রেফারি অফ সাইডের পতাকা উঠান। এ সময় ফুটবলাররা রেফারির সঙ্গে জেরা করেন। পরে রেফারি সহকারী ও চতুর্থ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে গোলের বাঁশি বাজান।
মাচের ৩২তম মিনিটে মালদ্বীপের মোহামেদ উমাইর গোল করে ম্যাচে সমতায় ফেরান। আলী আশফাকের করা কর্নার বাংলাদেশের ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। ওদিকে আনমার্কড অবস্থান ছিলেন ফরোয়ার্ড মোহামেদ উমাইর। তার প্লেসিংয়ে ম্যাচে সমতা আনেন।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে জয় সূচক গোল পায় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশ সিশেলসের বিপক্ষে ৮৭ মিনিটের গোলেই হেরেছিল। সাফে নেপাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছিল ৮০ মিনিটের পর। এবার অবশ্য ঘটনা উল্টো হয়েছে। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টিতে পায় বাংলাদেশ। মালদ্বীপের গোলরক্ষক জুয়েল রানাকে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পাশাপাশি গোলরক্ষককে কার্ড দেখান। ডিফেন্ডার তপু বর্মণ পেনাল্টি শট নিতে আসেন। তপুর নেয়া শট ঠেকাতে মালদ্বীপের গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপ দিলে তপু ডান দিকে কোনাকুনি শট নেন। বাংলাদেশ ২-১ গোলের লিড পায়।
শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপ গোল পরিশোধের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। এই জয়ে দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে জামাল-তপুরা।
চারজাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে পথে রয়েছে। আজ রাতে শ্রীলঙ্কা সিলেশসের মোকাবেলা করবে।