মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

কুলাউড়ায় পোশ্য হাতি দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি

কুলাউড়া সংবাদদাতা :: | বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট  

কুলাউড়ায় পোশ্য হাতি দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি

কুলাউড়ায় দিন দুপুরে প্রকাশ্যে পোশ্য হাতিকে দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্টান ও লোকালয় থেকে নগদ টাকা তুলে চাঁদবাজি করছেন এক হাতির মাহুত। আইনীভাবে হাতি দিয়ে এসব অবৈধ কাজ নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন মালিকানাধীন হাতির মাহুতরা তা তোয়াক্কা না করে প্রায় সময় শহরের রাস্তাঘাট সহ ও বিভিন্ন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে এসব চাঁদবাজি করে আসছেন। মাহুতরা হাতি দিয়ে প্রায়ই অনৈতিকভাবে টাকা তুলায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনরা।

সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েকদিন থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নোনা মিয়ার মালিকানাধীন বাচ্চা সহ একটি পোশ্য হাতির মাহুত আজিজুল মিয়া হাতি দিয়ে উচ্চ স্বরে গর্জন দিয়ে উপজেলার ব্রাহ্মনবাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান ও পথচারিদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে নগদ টাকা উত্তোলন করছে। হাতির উচ্চ শব্দে অনেকে ভয়ে দ্রুত টাকা দিতে থাকেন মাহুতের কাছে। প্রতিটি দোকান থেকে ১০০- সর্বনিম্ন ১০ টাকা দিতে হয় মাহুতের কাছে। কোনো কোনো দোকানে হাতি যেতে না চাইলে ধারালো লোহাযুক্ত লাটি (পুলি) দিয়ে মাহুত থাকে আঘাত করলে হাতি বাধ্য হয়ে সেইসব দোকানে গিয়ে বিকট শব্দ করে শুর দিয়ে টাকা এনে মাহুতের হাতে দেয়। হাতির এই বিকট শব্দ শুনে অনেক সময় ব্যবসা প্রতিষ্টানে আগত ছোট শিশুরা মারাত্মক ভয় পায়। এভাবে হাতি দিয়ে টাকা তুলে একেক বাজার থেকে মাহুতের ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা হয়ে যায়। হাতির মাহুত আজিজুলকে কি কারনে এসব টাকা তুলা হচ্ছে জিজ্ঞেশ করা হলে সে জানায় হাতিকে কিছু খাদ্য কিনে খাওয়ানোর জন্য টাকা তুলা হচ্ছে। অথচো হাতির প্রধান খাদ্য হচ্ছে জঙ্গলের গাছপালা ও ফলমূল।


কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, হাতি দিয়ে টাকা উত্তোলন করা সম্পূর্ন বেআইনী। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যারা এই কাজ করছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা দরকার। এই হাতিগুলো মূলত বন্যপ্রাণী। এদেরকে পোশ্য করে তাদের দেখভাল,বংশবিস্তার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য মালিকদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। হাতি দিয়ে টাকা তুলে চাঁদাবাজি করার জন্য নয়। এভাবে যদি কোনো হাতির মাহুত টাকা তুলে মানুষকে হয়রানী করে তাহলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হবে।


Facebook Comments Box


Comments

comments

advertisement

Posted ১০:২১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত