কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের আমুলি পানপুঞ্জির একটি টিলার নিচে থেকে রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উসমান মিয়া (৫৫) নামক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত উসমান মিয়া নুনা টিলাবাড়ির মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
(১৭ এপ্রিল) সোমবার সকালে নিহত উসমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রুমন অনমিক (৩২) নামক একজনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান ও উসমান মিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি বলেন, দিনমজুর উসমান মিয়া গত শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তীতে তিনি আর বাড়িতে ফিরেননি। রোববার বিকেলে তার লাশ আমুলি পানপুঞ্জির একটি টিলার নিচে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। উসমান মিয়া মুকুন্দপুর এলাকার লিটন নামক জনৈক ব্যক্তির ব্যক্তিগত পানজুমে দিনমজুরের কাজ করতেন।
নিহত উসমান মিয়ার স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, শনিবার রাত আনুমানিক বারোটার পর সবুজ, রুমন ও তোফায়েল নামক ৩জন পানজুম পাহারার জন্য ডেকে নেয় উসমান মিয়াকে। তারা বলে যে, সেহরির আগেই ফিরে আসবে। কিন্তু সেহরির সময় উসমান মিয়া ফিরে আসেননি। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
বোরবার সকালে স্বামীর খোঁজে রাঙিছড়া বাজারে যান রাবিয়া বেগম। সেখানে পান সবুজকে। সবুজ তাকে জানায়, উসমান মিয়া বাড়িতে চলে গেছেন। রাবিয়া বেগম বাড়িতে গিয়ে স্বামী ফিরে না আসায় আবারও সুবজের রাঙিছড়ার বাড়িতে যান। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে সবুজের ঘর তালা দেয়া দেখতে পান।
রাবিয়া বেগম জানান, দুপুরের পরে তার স্বামীর লাশ টিলার নিচে পড়ে থাকার খবর পান। তার দাবি, এই ৩জনের সাথে আরও ২জন মোট ৫ জন মিলে তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এদের সাথে তার স্বামীর অন্য একটি হত্যা মামলা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার জানান, এঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে নিহতের স্ত্রী রাবিয়া বেগম বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
Comments
comments