বিশেষ প্রতিনিধি,সাংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
ঢাকা:পছন্দ না হওয়ায় গভর্নর হাউসে থাকছেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি এখন পর্যন্ত স্ত্রীর কর্মসূত্রে পাওয়া সরকারি বাড়িতেই থাকছেন। তার স্ত্রী অতিরিক্ত সচিব। সে হিসেবে বেইলি রোডে আবাসিক সুবিধা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি গুলশানের গভর্নর হাউসটিতে উঠবেন না।
জানা গেছে, বিদায়ী গভর্নর ড. আতিউর রহমান গভর্নর হাউসে থাকতেন, যিনি রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর চলতি বছরের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন। এর দুই সপ্তাহের মাথায় আতিউর রহমান গভর্নর হাউসটি ছেড়ে চলে চান তার ব্যক্তিগত বাড়িতে।
আতিউর রহমানের বিদায়ের পর সাবেক আমলা, যিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
সূত্র বলছে, নিয়োগ পাওয়ার পর গভর্নর দুই দফা গুলশানের গভর্নর হাউসে গিয়েছিলেন। প্রথমবার ড. আতিউর রহমান সেখানে অবস্থান করার সময়েই। দ্বিতীয় দফায় যান আতিউর রহমান বাড়িটি ছাড়ার কিছুদিন পর।
ওই সময় তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সেখানে যান। সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় তারা দোতলা বাড়িটির প্রতিটি রুম ঘুরে দেখেন। বাড়ির আশেপাশেও ঘুরে দেখেন। কিন্তু বাড়িটি পুরনো হওয়াতে কিছুটা জরাজীর্ণ। দেয়ালগুলো ক্ষয়ে গেছে। এ কারণে তার স্ত্রী ও ছেলে বাড়িটি অপছন্দ করেন।
জানা গেছে, পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাই গভর্নর হাউসে না ওঠার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন ফজলে কবির।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, স্যার, গভর্নর হাউসে উঠবেন না, এমনটি আমাদের জানিয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, “আমি গভর্নর হাউসে থাকছি না। তবে এর কারণ ‘অপছন্দ’ সেটি আমি বলব না।”
তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী সরকারি চাকরিজীবী। তিনিও আবাসিক সুবিধা ভোগ করছেন। তাই আমরা বেইলি রোডে আছি। এখান থেকে যাতায়াত করাটাও সুবিধা।”
তবে একটি সূত্র বলছে, মিন্টু রোডে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪টি বাড়ি রয়েছে। সেগুলো সাধারণত বরাদ্দ দেয়া হয় ডেপুটি গভর্নরদের নামে। কিন্ত ফজলে কবির ওই ৪টি বাড়ি থেকে একটি নিতে বেশি আগ্রহী।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে তিনজন ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন। সবশেষ ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়াগ দেয়া হয়েছে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এমএম মনিরুজ্জামানকে। এর আগে থেকে দুজন দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফলে সব মিলিয়ে তিন ডেপুটি গভর্নর তিনটি বাড়িতে থাকলেও একটি বাড়ি খালিই থাকছে আপাতত।
গুলশানের গভর্নর হাউসটি করা হয়েছে পাকিস্তান আমলে। প্রায় ২০ কাঠা জমিতে বর্তমানে দোতলা বাড়ি রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব কিছু আসবাবও। তাছাড়া বাড়িটির দুপাশে রয়েছে খোলা জায়গা। যাতে করা হয়েছে বাগান। বাড়িটির পরিচর্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োজিত লোকজনও থাকেন।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এমএ/এজে
Posted ২:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.