
স্পোর্টস ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল
-সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নারী ক্রিকেট দলকে ২৭০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মার্কিন নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়েছে বাঘিনীরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় বাংলাদেশ নারী দলের।
হারারের সানরাইজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মুরশিদা খাতুনকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৯৭ বলে ৯৬ রান যোগ করেন শারমিন। ৫টি চারে ৫৬ বলে ৪৭ রান করে থামেন মুরশিদা।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩৩ রানে আউট হন। তবে তৃতীয় উইকেটে ফারজানা হককে নিয়ে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন শারমিন। ৬২ বলে ৬টি চারে ৬৭ রান করে থামেন ফারজানা। এই জুটি গড়ার পথে ইনিংসে ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে তিন অংকে পা রাখেন শারমিন। সেঞ্চুরি করতে ১১৭ বল খেলেন ২৫ বছর বয়সী এই ডান-হাতি ব্যাটার।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে বড় সংগ্রহই এনে দেন শারমিন। ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২২ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান বাংলাদেশ নারী দলের। বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিলো ৯ উইকেটে ২১১। যা ২০১৯ সালে লাহোরে পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে করেছিলো বাংলাদেশ। ১৪১ বল খেলে ১১টি চারে নিজের নান্দনিক ও স্মরণীয় ইনিংসটি খেলেন শারমিন।
জবাবে ৩২৩ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ৩০ দশমিক ৩ ওভারে ৫২ রানে অলআউট হয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র দুই ব্যাটার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন। তারা নরিস সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন। বাংলাদেশের সালমা খাতুন ১০ রানে, ফাহিমা খাতুন ৫ রানে ও রুমানা আহমেদ ১১ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের এটাই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে ৯ উইকেটে সর্বোচ্চ ২১১ রান করে ছিল বাংলাদেশ নারী দল।
সেই সঙ্গে শারমিন আক্তারের শতকও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে একদিনের ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদের। ভারতের বিপক্ষে ২০১৩ সালে আহমেদাবাদে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সালমা। পরের ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে একই ভেন্যুতে রুমানাও করেন ৭৫।
Posted ৮:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.