শতাব্দির ভয়াবহ কোভিড মহামারিতে অভিভাবক হারিয়েছে লাখো আমেরিকান শিশু। নতুন এক গবেষণা বলছে, অভিবাভক হারানো শিশুর সংখ্যা পূর্বে যা ধারণা করা হয়েছিল বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি। তাছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক আমেরিকানদের মধ্যে এ হার আরো বেশি বলেও জানানো হয়েছে ওই গবেষণায়। যুক্তরাষ্ট্রে যত শিশু তাদের অভিবাবক হারিয়েছে তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ কিংবা হিস্পানিক আমেরিকান। অথচ তারা দেশটির নাগরিকদের ৪০ শতাংশ। মেডিকেল জার্নাল পেডিয়াট্রিক্সে ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ওই গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক আলেক্সান্দ্রা ব্লেনকিনশপ বলেন, এই গবেষণায় সেসব শিশুদের কথা উঠে এসেছে যারা মহামারির কারণে সবথেকে বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। তিনি নিজেও ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
গবেষণায় জানা গেছে, মহামারির ১৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ২০ হাজার শিশু তাদের প্রাথমিক অভিবাবক হারিয়েছে। অর্থাৎ, বাবা-মা, দাদা কিংবা আর্থিক সমর্থন দিতো এমন অভিবাবকদের এখানে হিসাবে আনা হয়েছে। এছাড়া ২২ হাজার শিশু তাদের ‘অপ্রধান’ অভিবাবকদের হারিয়েছে। যেমন অনেক শিশুই তার দাদার বাড়িতে থাকে কিন্তু তার ব্যয় বহন করে মূলত তার বাবা-মা।
গবেষণায় জানানো হয়েছে, এই ১ লাখ ২০ হাজার শিশুর সকলেই অনাথ হয়েছে এমন নয়। তাদের বাবা কিংবা মা-এর একজন বেঁচে আছেন কিংবা অন্য আত্মীয়রা তার ব্যয় বহন করছে। কিন্তু এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল মূলত কত শিশুর জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে তা খুঁজে বের করা। গত বছর কত শিশু ফস্টার কেয়ারে এসেছে সে বিষয়ে এখনও ফেডারেল জরিপ প্রকাশিত হয়নি। গবেষকরা ধারণা করছেন, এ বছর অনাথ শিশুর সংখ্যা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে এক গবেষণায় ধারণা করা হয়েছিল যে, ৪০ হাজার শিশু তার বাবা বা মায়ের মধ্যে যে কোনো একজনকে বা উভয়কেই হারিয়েছে। তবে সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে এই সংখ্যা অন্তত ৩ গুণ বেশি।
Comments
comments