বড়লেখা প্রায় সাড়ে ১৩ বছর পর আজ ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

কাউন্সিলকে ঘিরে গত দুইমাস ধরে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয় তেমনি পছন্দের পদ ভাগে নিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন পদপ্রত্যাশীরা। সভাপতি ও সম্পাদক পদে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ নেতা নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছেন। উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দের (ভোটার) সমর্থন আদায়ে প্রার্থীরা মহাব্যস্ত।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালের ২৬ জুলাই বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে অনুষ্ঠিত সভায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর সভাপতি ও রুহুল কাদির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কাদির প্রবাসে যাওয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় যুবলীগের দলীয় কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়। উপজেলার যুবলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে গত দেড়মাস ধরে নেতাকর্মীর মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। সভাপতি পদে প্রতিদ›দ্ধীতা করতে উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। বড়লেখা পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলার ও প্যানেল মেয়র তাজউদ্দিন,উপজেলা যুবলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল কাদির, দাসেরবাজার ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আব্দুল মুমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান শিপলু, দক্ষিণভাগ (উত্তর) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা এনাম উদ্দিন।

সাধারণ সম্পাদক পদে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বড়লেখা ক্রিকেট প্লেয়ার ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমদ জুয়েল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন।

সংবাদমেইল২৪.কম/এজেএল/এনএস

Comments

comments