
আহমদউর রহমান ইমরান, রাজনগর (মৌলভীবাজার) থেকে: | রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
এ বছরের জুলাই মাসের শেষের দিকে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয় ‘মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে জঠিল রোগে আক্রান্ত, টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না রত্নার’। সেই রত্না বেগম এখন সুস্থ হয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করছেন।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বাঙ্গালী গ্রামের রত্না বেগম (৩৬) । স্বামী পংকি মিয়া দিনমজুর। বাবার বাড়ি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বেড়িগাঁও গ্রামে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এখলাছ মিয়া। রত্না বেগম গত কয়েক বছর ধরে গাইনি সমস্যা জনিত একটি জঠিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ব্যক্তি সংবাদের মাধ্যমে রত্না বেগমের সাথে যোগাযোগ করে রাজনগর উপজেলার হোয়াটসঅ্যাপ বিত্তিক সামাজিক সংগঠন ‘হৃদয়ে রাজনগর সামাজিক সংস্থা’। তার অপারেশনের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা সংস্থার সদস্যরা তাদের সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলাপ-আলোচনা করে ৭০ হাজার টাকা কালেকশন করে। পরে গত ০৬ আগষ্ট মৌলভীবাজারের একটি পাইভেট হাসপাতালে তার গাইনি সমস্যা জনিত রোগের অপারেশন করা হয়। তার পাশাপাশি রত্না বেগমের ছোট ছেলে রাজা মিয়া (১৩) কে ও অপারেশন করানো হয়েছে। রাজার প্রসাবের রাস্তার পাশে একটি টিউমারের মতো হয়েছিল।
রত্না বেগমের সাথে আলাপে তিনি জানান, আমি অসুস্থ অবস্থায় টাকার জন্য দিশেহারা ছিলাম। তখনি জানতে পারলাম হৃদয়ে রাজনগর সংস্থা মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করে । সংস্থার খুঁজ করে তাদের কাছে আমার জঠিল রোগ সর্ম্পকে বলি ও সাহায্য চাই। পরে আমার ও আমার ছেলের অপারেশন বাবত সব টাকা তারা দিছইন। অপারেশন করার পর যে টাকা রইচে তা সংস্থার সদস্যরা শনিবার আমাকে দিছইন। আমি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি তাদের জন্য দোয়া ছাড়া কিছু করতে পারবো না। রত্বা বেগমের স্বামী পংকি মিয়া বলেন, আমরা অসহায়। আমাদের পাশে হৃদয়ে রাজনগর সামাজিক সংস্থাটি দাড়িঁয়েছে তার জন্য আমরা অনেক খুশি। আমরা সংস্থার জন্য দোয়া করি।
সংস্থা সূত্রে জানা যায়, হৃদয়ে রাজনগর সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে যে কয়টি কাজ করা হয় তার মধ্যে জঠিল রোগে আক্রান্ত হল অন্যতম। জঠিল রোগে আক্রান্তদের কে সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। রত্না বেগমের বিষয় জানতে পেরে সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিরা তার খুঁজ-খবর নিয়ে তা সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলাপ-আলোচন্ করে তার জন্য ৭০ হাজার টাকা কালেকশন করা হয়।রত্না বেগম ও তার ছেলে রাজার অপারেশন বাবত ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।
ব্যয় হওয়ার পর বাকি টাকা শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে প্রদান করা হয়। প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন হৃদয়ে রাজনগর সামাজিক সংস্থার প্রতিনিধি সাংবাদিক আহমদউর রহমান ইমরান, সহকারী প্রতিনিধি মো. ছালিক আহমদ, উত্তরভাগ ইউপি প্রতিনিধি অলিউর রহমান, মুন্সীবাজার ইউপি সহকারী প্রতিনিধি রাসেল আহমদ, টেংরা ইউপি প্রতিনিধি শামসুল ইসলাম শাকিল, কামারচাক ইউপি সহকারী প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, সদস্য ফাহিম আহমদ, রত্না বেগমের স্বামী পংকি মিয়া, ছেলে রাজু ও রাজা প্রমূখ।
Posted ২:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.