স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা: প্রবাসী আয় শ্লথ হয়ে পড়ায় হঠাৎ করেই ডলারের দামে বড় উল্লম্ফন শুরু হয়েছে। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামে তেমন কোনো পরিরর্তন নেই বললেই চলে। ডলারের দাম বেশি বেড়েছে খোলা বাজারে। বছরের শেষ মাস থেকেই উর্ধ্বমুখি ধারায় রয়েছে ডলারের দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, মূলত বৈধ পথে প্রবাসী আয় দেশে আসাটা হুট করে পড়ে গেছে। তবে অর্থ আসছে না তা বলা যাবে না। তারা বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে এসব অর্থ দেশে আসছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির নিউজবাংলাদেশকে বলেন, “প্রবাসী আয়ে কিছুটা হোঁচট খেতে হয়েছে। তবে আমরা বিষয়গুলো শনাক্ত করেছি। আশা করি শিগগিরই সব ঠিক হয়ে যাবে।”
ডলার সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে হু হু করে দাম বাড়ছে নগদ ডলারের। খোলাবাজারে বেড়েছে প্রায় ৩ থেকে ৪ টাকা। ফলে ৭৯/৮০ টাকার ডলার বিক্রি হচ্ছে ৮৩/৮৪ টাকায়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। ৭৮ টাকার ঘরেই আছে। অর্থাৎ এক ডলার কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৭৮ টাকা।
ব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে ডলারের দামে বড় পার্থক্যের ফলে বিদেশ যাওয়ার আগে অনেকে ব্যাংক থেকে ডলার কিনলেও দেশে ফিরে বেশিরভাগই বিক্রি করছেন খোলাবাজারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে প্রতি ডলার কিনতে হয়েছে ৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। জুন পর্যন্ত তা ৭৮ টাকার ঘরেই ছিলো। এমনকি জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর মাসেও দরপতন ও উর্ধ্বমুখি হয়নি টাকার মান। কিন্তু ডিসেম্বরে এসেই বাড়ে ডলারের দাম।
জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ নিউজবাংলদেশকে বলেন, “টাকার মান দীর্ঘদিন ধরে ভালো ও স্থিতিশীল রয়েছ। এটা অর্থনীতির জন্য সুখবর। তবে হঠাৎ ডলারের দাম বেড়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে হুন্ডির কারণে। হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যে কোনোভাবে।”
টাকা শক্তিশালী হলে অর্থাৎ ডলারের বিপরীতে টাকার দর বাড়লে রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কেননা আগের তুলনায় তারা কম টাকা পান।
অন্যদিকে টাকার দর কমলে আমদানি ব্যয় কমে আসে। এতে আমদানিকারকরা লাভবান হন। পণ্যমূল্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কম থাকাসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জানা গেছে, গত দুই মাসে প্রবাসী আয় ব্যাপকহারে কমে গেছে। মোবাইলে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে হুন্ডি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিয়ষটি আমলে নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বিকাশের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদিরকে ডেকে সর্তকও করেছেন।
সংবাদমেইল২৪.কম/এনবি/এনএস
Posted ৮:০৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.