
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ০৭ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালটি নিজেই এখন রুগ্ন। শুধু রুগ্ন নয়, এতটাই রুগ্ন যে হাসপাতালটি চলছে যেন সেলাইন দিয়ে। ডাক্তার ও কর্মচারি সঙ্কটের কারনে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে দুর্ঘটনায় আহত রোগিকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে তাড়াতাড়ি মৌলভীবাজার কিংবা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এভাবেই কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক হাসপাতালের করুণ চিত্র তুলে ধরে প্রতিকারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।
ডা. নুরুল হক আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভায় একাধিকবার ডাক্তার সঙ্কটের কথা সভায় উত্থাপন করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তাছাড়া বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার লেখার পরও কোন ডাক্তার মেলেনি। এ অবস্থায় কর্মরতদের দায়িত্ব পালন করাও মুশকিল হয়ে পড়ছে।
জানা যায়, কুলাউড়া হাসপাতালে মিলিয়ে ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ মোট ৩৯ জন কর্মকর্তার পদ রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৪ জন ডাক্তার ও একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্মরত আছেন। প্রতিদিন কুলাউড়া হাসপাতালে ৪-৫শ রোগি ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে। মাত্র ৪ জন ডাক্তারের পক্ষে এত রোগিকে সেবা দেয়া কঠিন কাজ। তাছাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়ই ভর্তি রোগির সংখ্যা ৬০ জনের অধিক থাকে। ফলে মেঝেতে বিছানা বিছিয়ে রোগিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অফিসের কাজ কর্ম পরিচালনার জন্য প্রধান করণিক ও প্রধান হিসাবরক্ষক দুটো পদই শুন্য। তাছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৫জনের মধ্যে ৩ জন প্রেষণে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত। মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে হাসপাতালের কাজ সম্পন্ন করা দুষ্কর।
ফিল্ড পর্যায়ে ৩জন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সবক’টি পদই শুন্য। সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ১৩টি পদের মধ্যে ৭ জন কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্য সহকারি ৬১ জনের মধ্যে ৫৩ জন কর্মরত আছেন। তবে ২০ জন অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায়।
ফলে হাসপাতালে এবং মাঠে স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করা ক্রমশ দুষ্কর হয়ে পড়ছে।
Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ অক্টোবর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.