
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
জেলার কুলাউড়া উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী কেন্দ্র সচিবের অবহেলায় পরীক্ষা দিতে পারেনি।
(১৬ ফেব্রুয়ারি)বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেন্দ্র সচিব মো. আমির হোসেনকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কমার্সের মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার ( রোল নং ৫০৫৯৫৯) বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাথে সাথে তাকে কুলাউড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ইনজেকশন দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। এতে পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত ২৫ মিনিট সময় বিলম্বিত হয়। ২৫ মিনিট পর শিক্ষার্থী কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হল পরিদর্শক তাকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এর প্রশ্নপত্র দেন। হল পরিদর্শক কেন্দ্র সচিবের কাছে উত্তরপত্র আনতে গেলে কেন্দ্র সচিব ২৫ মিনিট দেরীর অজুহাতে উত্তরপত্র দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। তখন মেয়েটি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে কান্নাকাটি করলেও সচিবের মন গলেনি। উপরন্তু মেয়েটিকে ধমক দেন কেন্দ্র সচিব মো. আমীর হোসেন।
শিক্ষার্থীর মা খন্দকার হোসনে আরা অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়েলী সমস্যাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ হলে প্রথমে সে কয়েকবার বমি করায় আমরা ঘাবড়ে যাই। হাসপাতাল বাসার নিকটবর্তী হওয়ায় চিকিসার জন্য নিয়ে গেলে ডাক্তাররা বড় ধরনের কোন সমস্যা নয় বললে আমরা ২৫ মিনিট বিলম্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে সক্ষম হই। কিন্তু আমার মেয়ে বালিকা স্কুলের শিক্ষার্থী হওয়ার প্রতিহিংসা বশত নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আমার মেয়েকে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমার মেয়ে এখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সে কান্নাকাটি করছে। আমরা বোর্ডের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এব্যাপারে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমার বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ২৫ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া সত্বেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ না দেয়ার বিয়টি দু:খজনক। কেন্দ্র সচিব বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত না করে নিজে একগুয়েমি করে সিদ্বান্ত নেয়ায় একটি মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিতের মূখে ঠেলে দেয়া হলো।
এব্যাপারে কেন্দ্র সচিব আমির হোসেন বলেন, ২৫ মিনিট নয় ৫০ মিনিট দেরিতে শিক্ষার্থী কেন্দ্রে আসলে অবজেক্টটিব পরীক্ষার নির্ধারিত ২৫ মিনিট সময় অতিবাহিত হওয়ার ফলে আমি আর তার পরীক্ষা নিতে পারিনি। এরপরেও সিলেট বোর্ডে যোগাযাগ করলে তাদের অনুমতি না পাওয়ায় তার পরীক্ষা নেইনি। কেন্দ্রের সভাপতি ইউএনও’র বিষয়ে তিনি বলেন, উনি উনার অবস্থান থেকে বলেছেন, আমিতো বোর্ডের সিদ্বান্তের বাইরে যেতে পারিনা।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মো: গোলাম রাব্বি জানান, পরীক্ষার্থীর অসুস্থতাজনিত কারণে কেন্দ্রে সামান্য দেরিতে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখা উচিত ছিল। আমাকে প্রথমে জানানো হয়নি। পরে জেনে আমি কেন্দ্র সচিবকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে অবহেলায় মো. আমির হোসেনকে আরো কয়েকবার বরখাস্ত করা হয়েছিল। ফের ওই শিক্ষক আমির হোসেনের দায়িত্ব অবহেলার খবর শুনে অধিকাংশ অভিবাবকরা তাঁকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে আজীবন বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৯:০৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.