
রাজনগর প্রতিনিধি:,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
সিলেটের জিন্দাবাজারে নিহত কুয়েত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদের গ্রামের বাড়ি রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের মেদিনীমহল গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে আব্দুল আহাদের হত্যার প্রতিবাদে রাজনগরের মুন্সীবাজারে সড়ক অবরোধ ও মানবন্ধন করেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার -ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের মুন্সীবাজারে এ অবরোধ মানবন্ধন করা হয়।
সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আব্দুল আহাদ রাজনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ছিলেন। গত ঈদুল আযহার পূর্বে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। আব্দুল আহাদের নিহতের ঘটনায় রাজনগর প্রেসক্লাবের সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক সভা করেন। রাজনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আউয়াল কালাম বেগের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সোহেল প্রমুখ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী আব্দুল আহাদ (৩৮) বাংলাদেশে থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতাও করতেন। জনতার প্রত্যাশা নামক প্রত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে রাজনগর প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। এরপর তিনি কুয়েত চলে যান। দীর্ঘদিন কুয়েত থাকায় তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিগত কাউন্সিসিলে তিনি কুয়েত আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই সময়ে কুয়েতে ‘সিলেট লেখক ফোরামের’ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতরে স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দল কাদের অনুষ্ঠানে যোগদিতে সিলেট যান। সিলেটে তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতও করেন। নিহতের স্ত্রী জানান, সিলেট যাওয়ার আগে একটি ফোন এসেছিল বিদেশ থেকে। ফোনে বলা হয়েছিল ‘সিলেট যারে যখন বিদায় নিয়ে যাস’। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দেন না। শুক্রবার বিকালে সিলেট থেকে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাতে সিলেটের জিন্দাবাজের সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
এদিকে স্থানীয় লেকাজন ও আওয়ামীলীগ নেতারা আব্দুল আহাদ হত্যার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেন। মান্ববন্ধনে ছিলেন, মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মিলন বখত, রাজনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ সালেক, ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ও মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়াসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।
শনিবার বিকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রাজনগরের মুন্সিবাজারের তার নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় মুন্সিবাজারে প্রথম জানাযা ও মেদিনীমহল গ্রামের (খরিদপুর) পারিবারিক কবরস্থানে রাত নয়টায় ২য় জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আছকির খান সহ জেলা ও উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২:৪০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.