
সংবাদদাতা: | শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সমাজসেবী,প্রবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিল্প-সাহিত্যের পৃষ্টপোষক,দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সিলেটের অতীত ইতিহাস গৌরবোজ্জল । সিলেটের অতীত কৃষ্টি,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সির দানবীর ড.রাগীব আলী ভবনের ১নং গ্যালারীতে তাঁর সম্মানে আয়োজিত সিলেট লেখিকা সংঘের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি কবি সাহিত্যিকদের ভালবাসি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই রাগীর-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাগীর-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার,একুশে সস্মাননা প্রবর্তন করি। সাহিত্য,সাংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষায় সহযোগিতা করে যাচ্ছি। লেখকদের বই প্রকাশনায় রাগীর-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি আলোচনা সাপেক্ষে সিলেট লেখিকা সংঘের জন্য একটি কার্যালয়ের বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সিলেট লেখিকা সংঘের সভাপতি কবি ও লেখিকা রওশন আরা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক,লিডিং ইউনিভার্সির স্যোস্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড.মাইনুল আহসান খান,রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সচিব মেজর(অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিট্রার মেজর (অব.) শাহ আলম পিএসসি,বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী রাখী ভৌমিক।
আবৃত্তি ও লেখা পাঠে অংশ নেন-বি-বাড়ীয়া তিতাস আবৃতি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেন ও তার দল, লিডিং ইউনিভার্সিটির গবেষণা কর্মকর্তা লেখক কবি জসিম আল ফাহিম,সিলেট লেখিকা সংঘের সহ সভাপতি কবি সুফিয়া জমির ডেইজি,সাধারণ সম্পাদক কবি হোসনে আরা কলি,সহ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক কবি ইশরাক জাহান জেলি,সাংগঠনিক সম্পাদক বিনতা দেবী, অর্থ সম্পাদক আলেয়া রহমান,সহ অর্থ সম্পাদক আমেনা শহীদ চৌধুরী মান্না,সহ সাহিত্য সম্পাদক সুরাইয়া পারভীন লিলি,সাংস্কৃতি সম্পাদক লিপি খান,প্রচার সম্পাদক শিপারা বেগম শিপা,সহ প্রচার সম্পাদক তাহমিনা ইসলাম তমা, সদস্য কবি জুই ইসলাম, সেনোয়ারা বেগম চিনু,কবি নাজমুস সামা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার(এডমিশন) কাওসার হাওলাদার,সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবলী পুরকায়েস্থ,সিলেট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর সিনিয়র রিপোর্টার এম আহমদ আলী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে-সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন,লেখকরা সমাজ পরিবর্তনের সহায়ক শক্তি। সমাজের অভেদ অসাম্য দূর করতে কবি সাহিত্যিকরা যুগযুগ ধরে কাজ করে গেছেন। তাদের সৃজনশীল কাজের পৃষ্টপোষকতা ও মূল্যায়ন দরকার। এক্ষেত্রে দানবীর ড. রাগীব আলী যে কাজ করে যাচ্ছেন তা রসমাজে অনুকরণীয়।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট লেখিকা সংঘের কবি ও লেখিকা রওশন আরা চৌধুরী দানবীর ড.রাগীব আলী ও লিডিং ইউনিভার্সি কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সিলেট তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্প সাহিত্যের পৃষ্টপোষকতায় দানবীর ড. রাগীব আলীর অবদান অতুলনীয়। সাহিত্য প্রেমিদের কাছে তা যুগযুগ ধরে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে । তাঁর মরহুমা স্ত্রী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী ও ছিলেন এক্ষেত্রে এক মহীয়সী নারী। তাদের এই অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগযুগ ধরে ইতিহাসের পাতায়।
Posted ১০:০৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.