
প্রবাস ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বসেছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বইমেলার ৭৩তম আসর। ২০ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর রোববার শেষ হয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলা। করোনা মহামারির কারণে এবারের বইমেলা আগের চেয়ে অনেকটা সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ৮০টি দেশ থেকে দুই হাজার ১৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও ১০৫টি দেশ থেকে ৭৩৫০০ জন প্রতিনিধি মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৭২তম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি। “রি কানেক্ট – ওয়েলকাম ব্যাক টু ফ্রাঙ্কফুর্ট” শিরোনামে এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে। মহামারির ঢেউ কাটিয়ে বই শিল্পের নতুন শুরু, এই শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও এর গুরুত্ব নিয়ে মেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শতাধিক সেমিনার।
২০১৫ সাল থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এ বছর মেলা শুরুর দিন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি জানান, বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে এই মেলায় অংশগ্রহণ করা জরুরি।
এছাড়াও মেলা পরিদর্শন করেছেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। রাষ্ট্রদূত জানান, এবছর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করবে।
এ বছর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম। মেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে অংশগ্রহণ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপিসহ অনেকে।
Posted ৮:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.