
অনলাইন ডেস্ক : | শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
আবারও করোনা মহামারির কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে ইউরোপ। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে দৈনিক মোট শনাক্ত ও প্রাণহানির অর্ধেকই ঘটছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার পরও ইউরোপের দেশগুলোতে শীতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন সামনে ইউরোপের জন্য আবারও কঠিন দিন আসছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, রোমানিয়ায় নতুন করে দেখা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)ও সতর্কবার্তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছে, গোটা ইউরোপকেই ভুগতে হবে এই শীতে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে এই মহাদেশে।
এদিকে, এই অঞ্চলের অর্থনীতির গতি আবারো স্তিমিত হয় পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। বড়দিনের ছুটিকে সামনে রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণে তাই আবারো বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে জার্মানি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
গত মাসেই রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। মাত্র এক মাসে ৪৪ হাজার মৃত্যু দেখেছে দেশটি। দৈনিক প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি সংক্রমণে জার্মানির অবস্থাও সংকটজনক। এক লাখ মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির সরকার।
এরই মধ্যে শনিবার থেকে তিন সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে নেদারল্যান্ডে। বুস্টার ডোজসহ ফ্রি করোনা পরীক্ষা করানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে কয়েকটি দেশ।
অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছে, যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অস্ট্রিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নতুন করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না-থাকলে পানশালা, রেস্তোরাঁ বা কোনো বদ্ধ জায়গায় প্রবেশ করা যাবে না।
নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করছে নরওয়েতে। যারা টিকা নেননি এখনও, তাদের সপ্তাহে দুই বার করোনা-পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে।
তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।
Posted ৯:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.