
| রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
সংবাদমেইল অনলাইন : টঙ্গীর তুরাগতীর, আশপাশের এলাকা, সড়ক-মহাসড়ক-অলিগলিতে লাখো মুসল্লি। যে যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসে, সবার হাত ওপরে তোলা। লাখো মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৭ মিনিট স্থায়ী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের নিজাম উদ্দিন মার্কাসের মাওলানা জমশেদ। মোনাজাতে দেশের জন্য অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করা হয়। এ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) বাদ ফজর থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়। সকাল থেকে ইজতেমায় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজ। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জড়ো হতে থাকেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গীমুখী মহাসড়ক, সড়ক ও শাখা সড়কে গণপরিবহণ প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। ফলে মোনাজাতে অংশ নিতে মুসল্লিসহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ ভোর থেকে হেঁটেই ইজতেমাস্থলের দিকে আসেন। অবশ্য এ পর্বে মুসল্লিদের চাপ কম থাকায় অনেক মুসল্লিদের শাখা সড়কে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ইত্যাদি বাহনে চড়ে আসতে দেখা গেছে।
ময়দানের চারদিক দিয়ে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি পৌঁছান। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া ১০টার দিকে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে মুসল্লিরা ময়দা সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কালীগঞ্জ-টঙ্গীসড়ক, কামারপড়া সড়ক ও অলি-গলিতে অবস্থান নেন। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিসের ছাঁদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে শরিক হন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গীর তুরাগ পারের ইজতেমা ময়দানে মানুষের ঢল নামে।
Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.