
আহমদউর রহমান ইমরান,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
বাংলাদেশের এক সৌন্দর্যের লিলা ভূমি সিলেট বিভাগ। সৌন্দর্যকে এক নজর দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন সিলেটে। এই সিলেটে আছে হাওর-বাওর, পাহাড়-নদী, নানা জাতের বৃক্ষরাজী আছে জলবন। সোয়াম ফরেষ্ট। সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় প্রকৃতি দু’হাতে তার রুপ বিলিয়ে দিয়েছে । এর অনেকটা পর্যটকদের কাছে পরিচিত হলেও অনেক এলাকা এখনো রয়ে গেছে প্রচারের আলোর নিচে।
তেমনি একটি এলাকা মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেহপুর ইউনিয়নের ‘অন্তেহরি গ্রাম’। এই গ্রাম উপজেলার কাওয়াদীঘী হাওর সংলগ্ন জলের গ্রাম নামে পরিচিত। বছরে ৬ থেকে ৮ মাস এই গ্রাম জলমগ্ন থাকে, জলমগ্ন এই গ্রাম গ্রামের রুপ বাংলাদেশের আর অন্য কয়টা গ্রামের থেকে সম্পুর্ন আলাদা। পুরো গ্রামই পানির উপর ভাসমান ঠিক যেমন ভেসে আছে শাপলাসহ নানা জাতি প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ। গ্রামের প্রতিটি বাড়ীর বাকে বাকে নানা প্রজাতির জলজ উদ্ভিত যা এক অন্যরকম মোহনীয় দৃশ্য।
এই গ্রামেই আছে সোয়াম ফরেষ্টে হিজল-তমাল-করছ সহ বিভিন্ন গাছগাছালির সমন্বয়ে এখানে তৈরি হয়েছে। অন্তেহরী ছাড়াও আশেপাশের অনেকগুলো গ্রামে জলারবন রয়েছে। বড়ই অদ্ভুত এই গ্রামগুলোর দৃশ্য। কোনো গাছের হাঁটু পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে। কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। কোথাও ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা।
আবার কোথাও একেবারে ফাকা শুধু তই তই পানি। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দিবে পথ। হাত দিয়ে ওগুলো সরিয়ে তৈরি করতে হবে পথ। গাছের ডালে বাসা বেধেছে নানা প্রজাতির পাখি । আবার অনেক গাছে আশ্রয় নিয়ছে অনক প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বর্ষায় লোকালয় পানির নিচে চলে যায় তাই এসব বন্যপ্রাণী উঠে পড়ে গাছের ওপর।
শীতকালে এখানে দাঁপিয়ে বেড়ায় বনবিড়াল, বেজি, শিয়ালসহ নানা প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। সারা গ্রাম পানির নিচে থামলেও ছোট একটি বাজার আছে অন্তেহরি গ্রামে। সেই বাজারে এসে ঝড় হন আশেপাশের গ্রামবাসী ডিঙি নৌকা নিয়ে। মনে হবে পানির উপর ভাসমান কোন এক জাহাজ।
Posted ২:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.