
অনলাইন ডেস্ক : | বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
পবিত্র কুরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। তাই নামাজের সময় কুরআনের আরবি আয়াত তিলাওয়াত করে ইবাদত করেন মুসল্লিরা। সেক্ষেত্রে তারা আরবি ভাষায় নাজিল হওয়া কুরআনের আয়াতই পাঠ করে। কিন্তু এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানকার মুসল্লিরা আরবি ভাষা জানেন না। আর তাই তারা নামাজ পড়েন নিজের ভাষায়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই গ্রামটি ভারতে অবস্থিত। দেশটির কর্ণাটক রাজ্যের হাবেরি জেলার ওই গ্রামের নাম চিক্কা কাব্বার। এই গ্রামেই রয়েছে মেহবুব সুবানি দরগা। সেখানেই মানুষজন কন্নড় ভাষায় নামাজ আদায় করেন। এই গ্রামটি রাত্তিহাল্লি তালুকের অন্তর্গত। এখানে প্রায় ১৫০ বছর ধরে এভাবেই নামাজ আদায় করে আসছেন স্থানীয়রা। গ্রামটিতে ৪০০ মুসলিম পরিবার রয়েছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই উর্দু ও আরবি ভাষা জানেন না।
তাই স্থানীয় ইমাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কন্নড় ভাষায় আদায় করেন । গ্রামের মুসলিমরা তাদের ভাষা নিয়ে গর্বিত এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলেমিশে বাস করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্মাই এই জেলার বাসিন্দা। সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত দশকে শিশুরা স্কুলে উর্দু ভাষা শেখা শুরু করেছে। যদিও মসজিদের ভেতরে ও বাইরে কন্নড় ভাষার বোর্ড রয়েছে।
মসজিদের বর্তমান ইমাম মোহাম্মদ পিরানসাব বলেন, চিক্কা কাব্বার গ্রামের অধিকাংশ মুসলিম আরবি ও উর্দু ভাষা জানেন না। তাই নামাজের সময় এসব ভাষা ব্যবহারের কোনো মানে হয় না। তবে আগের ইমামরা কন্নড় ভাষায় নামাজ পরিয়েছেন। কারণ এই ভাষায় কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ এবং তারা বিষয়গুলো সহজে ধরতে পারে। তাই আমিও তাদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি।
তিনি বলেন, গ্রামের অমুসলিমরাও আমাদের কন্নড় ভাষায় পড়া সুরা শোনে। ভাষার মধ্যে কোনো গুরুত্ব নেই। বরং ধর্ম এবং নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করাই আসল উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেন পিরানসাব।
Posted ৫:০৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৩ নভেম্বর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.