
লাইফস্টাইল ডেস্ক ,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
অন্যান্য ঘর সাজানো জিনিসের মতো বই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু বই প্রথমত মনকে আলোকিত ও প্রসারিত করার উপকরণ। তারপর সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
বইয়ের মতো খাঁটি বন্ধু আর নেই। বই এর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা তখনই প্রকাশ পায় যখন বই পড়া হয় যত্নের সঙ্গে।
বই কেনা, ঘরে রাখা ও ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। আসুন জেনে নেয়া যাক বই পড়ার সময় কি করবেন আর কি করবেন না-
১. বই পড়ার সময় কলম বা পেন্সিল দিয়ে দাগ দিবেন না। আর পড়ার সুবিধার জন্য যদি কোনো শব্দ বা বাক্যকে দাগ দিতেই হয় হয় তবে ছোট করে হালকাভাবে দাগ দিন।
২. বইয়ের পাতা কখনো ভাঁজ করে রাখবেন না। পেজমার্ক ব্যবহার করুন। বই ও ভালো থাকবে, খুঁজে পেতে সহজ হবে।
৩. পাতা উল্টানোর সময় থুতু ব্যবহার করবেন না। আপনার মতো অনেকেই এই বই উল্টানোর সময় হয়তো থুতুই ব্যবহার করেছে। ব্যাপারটা অস্বাস্থ্যকর।
৪. বইয়ের পাতায় স্টিলের পেপার ক্লিপ লাগাবেন না। মরচে পড়ে বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. নিজের বই হোক বা লাইব্রেরির কখনো প্রয়োজন হলে বইয়ের পাতা ছিঁড়বেন না। কিছু দরকার হলে নোটবুকে সেই তথ্যটা লিখে রাখুন।
৬. বই পড়তে পড়তে তা উল্টে রাখবেন না, বিশেষ করে মোটা, বড় বই। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে।
৭. বইয়ের মধ্যে ফুল রাখার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। এর ফলে বইয়ের পাতার রঙ নষ্ট হয়ে যায়।
৮. কোনো পুরোনো নথিপত্র, বইয়ের পাতা ছেঁড়া থাকলে সেলোটেপ লাগানোর আগে জেনে নিতে হবে বই এর সংরক্ষণের জন্য তা নিরাপদ কি না।
৯. পাঠাগারে বই পড়লে ডিসপ্লে সেকশন থেকে বই নিয়ে, সেখানেই আবার রেখে দিবেন। অন্য কোনো সেকশনে রাখবেন না। এতে অন্য কারো বই খুঁজে পেতে কষ্ট হবে।
১০. বিষয় বা লেখকের নাম অনুসারে বই গুছিয়ে রাখুন। প্রয়োজনের সময় খুঁজে পেতে সময় কম লাগবে।
১১. আরো সহজে বই খুঁজতে লাইব্রেরির মতো নিজের সংগ্রহে থাকা বইয়ে লেবেলিং ও ট্যাগ লাগিয়ে নিতে পারেন।
১২. সরাসরি রোদে বই না রাখাই ভালো, বইয়ের পাতা খারাপ হয়ে যেতে পারে।
১৩. স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বই সংরক্ষণ করবেন না। বই ড্যাম্প হতে পারে।
১৪. বুকশেলফে বই সোজা করে রাখা উচিত। গাদাগাদি করে বই রাখলে বইয়ের বাইন্ডিং খুব সহজে নষ্ট হয়ে যাবে।
১৫. বইয়ের ছেঁড়া বা আলগা পাতা থাকলে বই বাধিঁয়ে নিন।
১৬. বইয়ে পোকামাকড় যাতে না ধরে সেই জন্য নিমপাতা শুকিয়ে বা ন্যাপথলিন বুক শেলফে রেখে দিবেন। পোকার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবেন। মাঝে মাঝে এগুলো পরিবর্তন করে নতুন করে দিবেন।
১৭. বই রাখার স্থান মাঝে মাঝে পরিষ্কার করুন। বইয়ের ওপর ধূলাবালি জমলে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
১৮. কাউকে বই ধার দিলে বইয়ের নাম, যাকে দিচ্ছেন তার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা লিখে রাখুন। এতে বই হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
১৯. বই ধার যেভাবে নিয়েছেন সেভাবেই ফেরত দিতে চেষ্টা করবেন।
২০. বই ফেরত দেয়ার সময় মলাট করে ফেরত দিতে পারেন। তাতে আপনার সুরুচি প্রকাশ পাবে।
২১. বই ধার নিলে যথাসময়ে ফেরত দিবেন। তাতে আপনার সময়ানুবর্তী মনোভাব ও প্রকাশ পাবে। যদি পড়া না হয়ে থাকে তবে বইয়ের মালিককে তা জানাবেন যে আপনার আরো কিছু সময় লাগবে। এর ফলে আপনার সম্পর্কে একটা ভালো মনোভাব অপর পক্ষের সৃষ্টি হবে।
সংবাদমেইল২৪.কম/ই এ/এনএস
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.