
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
লাইসেন্স বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, মাদকাসক্ত অজ্ঞ চালক, রাস্তার বেহাল অবস্থা ও রাস্তায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিগনাল না মানায় মৌলভীবাজার-কুলাউড়া রোডে মাত্রা অতিরিক্ত হারে বেড়েছে সড়ক দূর্ঘটনা। চলতি মাসে এ পর্যন্ত সড়ক দূর্ঘটনায় ওই রোডে প্রাণ গেল ৪ যাত্রীর। আহত হয়েছেন শতাধিক। অতিমাত্রায় দূর্ঘটনা বৃদ্ধির কারনে ওই রোডে যাত্রায়াতকারী ৫ উপজেলার লোক রয়েছেন অতংকে।
জেলা সদরের সাথে বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও রাজনগরের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ওই রাস্তা।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরে কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত শেরপুর সেতু মেরামতের জন্য গত ৯ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ঢাকা-সিলেটের সকল গাড়ি ওই ব্রীজ দিয়ে চলাবল বন্ধ থাকায় সিলেটে-সুনামগঞ্জের সাথে সারা দেশের যোগাগের জন্য বিকল্প রাস্তা হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর ও মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করা। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে পাথর বুঝাই ভারি যান চলাচলের কারণে রাস্তার অনেক জায়গায় উঁচু-নিচু ঢেউয়ের মতো ও বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীরা ওই গর্তে বিপদ চিহ্ন হিসেবে লাল প্লেগ বাঁশ দিয়ে বেধে রেখেছেন। ঝুকি নিয়ে বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেটের গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দূর্ঘটনা।
ওই রাস্তায় চলতি মাসের ২০ নভেম্বর মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের চাটুরা এলাকায় আলতা মিয়া নিহত হন, ১ নভেম্বর মহলাল এলাকায় প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আপন দুই ভাই সহ ৩ জন নিহত হয়েছেন ও ২৭ অক্টোবর রাজনগর ও মৌলভীবাজার পৃথক ২ স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
এছাড়াও গত ২৪ নভেম্বর রাতে গোবিন্ধবাটি এলাকায় রাজনগর ডিএস ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রকিব দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হন।
স্থানীয়রা মনে করেন, রাস্তার বেহাল দশার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ বীহিন, নেশাগ্রস্থ ও অসচেতন চালকদের কারণে ওই সমস্থ দূর্ঘটনা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন সময় চালকদের কাজগ পত্র দেখার জন্য আটকিয়ে বৈধকাগজ না পেয়েও বামহাতের লেনদেনে আবার রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত সংবাদমেইলকে বলেন, টেন্ডার হয়েছে আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারীর মধ্যে কাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংবাদমেইল২৪.কম/ই এ/এনএস
Posted ৫:৪২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.