
বিশেষ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার নোমান আহমদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতের রিকল জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জালিয়াতির ঘটনায় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগ (গত ০২ ফেব্রুয়ারি) দায়ের করেছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এঘটনায় আদালতপাড়াসহ কুলাউড়া উপজেলায় তোলপাড় চলছে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার নোমান একজন আইনজীবি সহকারী।
উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত রহমান মিয়ার ছেলে সেফুল মিয়া একটি (জিআর ৩১১/৯৮ কুলা) মামলার ১ নম্বর আসামী। মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এই আসামী পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়া জারি করেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত আসামীকে আটকে কুলাউড়া থানার এসআই পরিমল চন্দ্র সেফুল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানকালে তিনি জানতে পারেন সেফুল মিয়া আদালতের জামিনে আছেন। তিনি আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রিকলমুলে আদালতে ফেরৎ প্রদান করেন। মামলার মুল নথি পর্য়ালোচনা করে দেখা যায়, পালাতক আসামী সেফুল মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। তাছাড়া রিকলে ৫নং আমলী আদালতের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করা হয়েছে এবংআদালত থেকে কোন রিকল ইস্যু করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নিশ্চিত করেন। রিকলে অ্যাডভোকেট ক্লাক আকবর আলী জজ কোর্ট মৌলভীবাজার (কার্ড নং ৩৩) নামীয় কোন আইনজীবি নেই।
বিষয়টি আদালতের নির্দেশে কুলাউড়া থানার এসআই রফিকুল ইসলাম তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে সাজাপ্রাপ্ত আসামী সেফুল মিয়াকে রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে আইনজীবি সহকারিও রাউৎগাঁও ইউপি মেম্বার নোমান আহমদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পালবাড়ীর বাসিন্দা মৃত আবুল লেইছের ছেলে সুমন আহমদ মিলে এই জালিয়াতি করেছেন।
এই জালিয়াতির ঘটনায় আতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী বাদি হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগে ০২ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমল গ্রহণকারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ইউপি মেম্বার নোমান আহমদসহ ৩ আসামী পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নোমান আহমদ মুঠো ফোনে জানান,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আদালতে দায়ের করা হয়েছে এঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়।
কুলাউড়া থানায় অফিসার্স ইনচার্জ ও মামলার এক নম্বর সাক্ষী বিনয় ভূষন রায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
Posted ৪:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.