
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক আব্দুল বাছিত বাচ্চুকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে চেয়ারম্যানের অভিযোগ ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ যোগসাজসে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় বিরাজ বিরূপ প্রতিক্রিয়া। জেলার সাংবাদিক মহল ও সুশীল সমাজ একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান ও পেশদার সাংবাদিককে এ ধরনের হয়রানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, হাজিপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের বখাটে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক প্রান্থ (১৮) ও তার মা অর্পিতা রাণী গত ৩১ ডিসেম্বর প্রবাসী প্রজয় দে’র স্ত্রী বাবলী রানী দে’কে বেদড়ক মারধর করে করে। এতে বাবলী রাণীর মারাত্মক রক্তকরণ হলে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেট বিভিন্ন হাসাপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসা নেন। বাবলী রানী এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে চাইলে এলাকার অনুরোধে বিষয়টি গ্রামে সালিশ বোর্ড গঠন করে নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন চেয়ারম্যান বাচ্চু।
৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাবেক চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করে রায় ঘোষণা করা হলে প্রান্থ এবং তার মা অর্পিতা দোষ স্বীকার করে এ ধরণের ঘটনা করবে না বলে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে অঙ্গিকার দেন। কিন্তু রহস্যময় কারণে অর্পিতা রানী তার ছেলে প্রান্থকে বিচারে মারধর করা হয়েছে মর্মে ৭ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়া থানায় চেয়ারম্যানকে ১ নাম্বার এবং বাবলীর স্বামী প্রজয় দে’কে ২ নাম্বার আসামী করে ৩০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী স্থানীয় কঠারকোনা বাজারে মামলার প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হামিদ মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম উমেদ আলীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নিন্দা জানিয়েছেন।
বিষয়টি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, প্রান্থ এলাকার চিন্থিত বখাটে ও মাদকাসক্ত। সে ও তার মা তুচ্ছ ঘটনায় আপন কাকি বাবলী রানীকে বেদড়খ মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সঠিক বিচার করলেও আমার ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য মামলা দেয়া হয়। আমার ধরণা রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রতিপ্রক্ষ জরিমানা দিতে হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
এছাড়াও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আমার ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হচ্ছে। বিগত ২৭ বছরে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনে কেউ কোনোদিন আমার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা বা জিডি করেনি।
এ প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ পিপিএম (বার) বলেন, সালিশি বিচারে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
Posted ৪:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.