শরীফ আহমেদ, সংবাদমেইল২৪ডটকম | মঙ্গলবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
আজ ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতাকে সামনে রেখে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে মিনার বখস। মিনার কি জানতো মায়ের লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষার দিতে হবে। পরীক্ষার হলে যাওয়ার ২ ঘন্টা পূর্বে তার মাতা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যাবেন?
জানা যায়, মিনার কুলাউড়ার ডিগ্রি কলেজের কারিগরী বোর্ডের অধিনে বিএম শাখার নিয়মিত ছাত্র হিসেবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। একই উপজেলায় অবস্থিত ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে তার পরীক্ষা কেন্দ্র।
সে শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (০২ এপ্রিল) সোমবার সহপাঠীদের সাথে আনন্দগণ মূহুর্তে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সেই পরীক্ষা প্রস্তুতি অনুযায়ী ভালো হয়েছে।
কিন্তু ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়ার দুই ঘন্টা আগে নিয়তির ডাকে তার মাতা পলী বেগম (৪৫) অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তখন সকাল ৭টা ৪০ মিনিট মিনার ছিল তার পড়ার টেবিলে। এক দিকে মায়ের ইন্তেকালের খবর আর অন্য দিকে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে হবে ২ ঘন্টার মধ্যে।
মিনার আঝরে হাউ মাউ করে কেঁদে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নিজ মায়ের লাশ ঘরে রেখে কিভাবে পরীক্ষা হলে যাবে। সে প্রশ্নের উত্তরপত্রে লিখতে পারবে? শেষ পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যদের সান্তনা ও বুঝানোর পর চোখের জ্বল পড়ছে কেঁদে কেঁদে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
মিনার পরীক্ষার খাতায় লিখছে আর কাঁদছে দেখে হলে থাকা পরিদর্শক ও তার সহপাঠীরা অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে মিনার তোমার হয়েছে? তখন মিনার উত্তর দিয়েছে আম্মুর লাশ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি! তখন পুরো পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক ও অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো গোলাম রাব্বী পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে মিনারকে সান্তনা ও সাহস দেন।
Posted ৫:৫২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.