বড়লেখা প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বড়লেখায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে (৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড,বড়লেখা প্রেসক্লাব, নজরুল একাডেমী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
র্যালী শেষে সদর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও নজরুল একাডেমীর উপদেষ্টা মছরুর আলম চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, উপাধ্যক্ষ একেএম হেলাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এপিপি গোপাল দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা সুরত আলী, নুরুল ইসলাম তখন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাজ উদ্দিন, ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, শিক্ষক মাকসুদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, সাংবাদিক সুলতান আহমদ খলিল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক মুহাম্মদ শাহজাহান, সদস্য সচিব শুভাশিষ দে শুভ্র, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শামীম আহমদ প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সফিউল আলম, উপজেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আপ্তাব আলী, সাংবাদিক লিটন শরীফ, আব্দুর রব, ইকবাল হোসেন স্বপন, নজরুল একাডেমীর উপদেষ্টা জুনেদ রায়হান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মিলন দে, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংবাদিক তপন কুমার দাস, এ.জে লাভলু, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, পাথাকুড়ি শিশু কিশোর থিয়েটারের সভাপতি তাজুল ইসলাম, এমএইচএস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন শান্ত,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ইমান উদ্দিন বলাই, আলতাফ হোসেন মাসুম, রিফাত আহমদ, ইমান উদ্দিন প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ ।
সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা, বেঙ্গল রেজিমেন্ট, পুলিশ, ইপিআর, আনসারসহ মিত্র বাহিনীর সৈনিক ও সেনা কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখাবাসী জেগে উঠেছিল রণহুঙ্কারে। ৩২৫টি গ্রাম যেনো প্রতিরোধের এক একটি দূর্গে পরিণত হয়। ৬ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল হানাদারা বড়লেখা ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশে উদিত হয় লাল সবুজের পতাকা।
সংবাদমেইল২৪.কম/এনআই/এনএস
Posted ৬:২২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.