
বড়লেখা সংবাদদাতা,সংবাদমেইল২৪ডটকমঃ | রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬ | প্রিন্ট
বড়লেখায় কেরামত নগর চা-বাগানের ম্যানেজার মারুফ আহমদের (৪০) বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরামত নগর চা বাগানের ম্যানেজার মারুফ আহমদ স্ত্রী দিলরুবা ইয়াছমিনকে (৩২) দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। গত শুক্রবার রাত অনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইয়াছমিন তার বোনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।
এসময় কোন কারণ ছাড়াই স্বামী মারুফ আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এতে ইয়াছমিন নাকে-মুখে গুরুতর আঘাত পান। ঘটনার পরপরই রক্তাক্তবস্থায় ইয়াছমিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোবারক হোসেন পলাশ ও সুইপার সেজুল মিয়া চিকৎসার বদলে তার সঙ্গে ঠাট্টা করতে থাকেন। অনেক অনুনয়-বিনয় আর আবেদন নিবেদনের পর হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় সিংহ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন“রেফার্ড টু এসওএমসিএইচ”।
ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর শনিবার রাতে স্বামী মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন ইয়াছমিন।
নির্যাতনের শিকার ইয়াছমিন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্তবস্থায় হাসপাতালে গেলে পলাশ ডাক্তার ও সুইপার সেজুল আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে থাকেন। সুইপার সেজুল ঠাট্টা করে বলে এগুলো আসল রক্ত না কি রং? তার সঙ্গে ডাক্তার মোবারক হোসেন পলাশও রক্তগুলো আসল না কি নকল বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।’ তিনি বলেন, ‘পলাশ ডাক্তারের সঙ্গে আমার স্বামী মারুফের ভালো সম্পর্ক। এজন্য রক্তাক্তবস্থায় আমি হাসপাতালে গেলে তারা আমার চিকিৎসা করতে চায়নি। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর এক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন “রেফার্ড টু এসওএমসিএইচ”।
অভিযুক্ত স্বামী মারুফ আহমদ,স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনাটি অস্বীকার করছেন।
এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমদ হোসেন বলেন ‘ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে চা-বাগান ম্যানেজার মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Posted ৭:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.