
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
বড়লেখায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত তৎপরতায় শুক্রবার একটি বাল্যবিয়ে রোধ হয়েছে। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে অসাধু নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) ও প্রবাসী বর লাপাত্তা হয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের হিনাইনগর গ্রামের হুছন আহমদের কিশোরী মেয়ের সাথে ডিমাই গ্রামের আকদ্দছ আলীর প্রবাসী ছেলে এনাম উদ্দিনের বিয়ে ঠিক হয়। সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার জিয়াউল হকের যোগসাজশে ভূয়া জন্মসনদে শুক্রবার বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমীর সরকার স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম রুবেলকে বাল্যবিয়ে রোধের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
কনের এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল ও বরের এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজ উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে জুম্মার নামাজের পর তারা বিয়ে বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মেয়েটির বিয়ের বয়স এখনও প্রায় ৮ মাস কম। এজন্য কনের বাবাকে এ বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের খবর পেয়ে বর এনাম উদ্দিন ও নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিয়াউল হক বিয়ে বাড়ীতে আর পৌঁছেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝপথ থেকে তারা পালিয়ে গেছেন। বড়লেখা পৌরসভায় নিয়োজিত কাজী জিয়াউল হক দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে জাল জন্মসনদে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে কাজী জিয়াউল হক জাল জন্মসনদে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমীর বিশ্বাস জানান, হিনাইনগর গ্রামে হ্যাপি বেগম নামে এক কিশোরী মেয়ের বাল্যবিয়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্তক্রমে তিনি তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৬:০২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.