
বড়লেখা প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বড়লেখায় কেরামত নগর ও কুমারসাইল চা-বাগানের হিসাবরক্ষক মারুফ আহমদের (৪৫) বিরুদ্ধে বাগানের এক কোটি এক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মারুফ আহমদ কুলাউড়া উপজেলার রাজনগর (রবিরবাজার) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাই’র ছেলে।
থানায় দায়ের করা মামলা ও চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, মারুফ আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বড়লেখা উপজেলার কেরামত নগর ও কুমারসাইল চা-বাগানের একাউন্টেন্ট (হিসাবরক্ষক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার কাছে বাগানের পৃথক দু’টি ব্যাংকের ৫টি একাউন্ট ছাড়াও বাগানের জমির দলিলপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র ছিল। গত (১২ জানুয়ারি) মঙ্গলাবার থেকে চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মারুফ আহমদ উধাও হয়ে যান। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান গত (১৬ জানুয়ারি) সোমবার বড়লেখা থানায় সাধরণ ডায়েরি করেন। পরদিন মঙ্গলবার তিনি দু’টি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। স্টেটমেন্ট সংগ্রহের পর বাগানের নিজস্ব ক্যাশ বইয়ের সাথে মেলাতেই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। টাকা আত্মসাৎ ও বাগানের আরও প্রায় ২০/২৫ লাখ টাকা গড়মিল থাকায় চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান বুধবার রাতে বাদি হয়ে মারুফ আহমদকে প্রধান আসামী ও আরো দুইজনের নাম উল্লেখ করে বড়লেখা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৯।
চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমানের জানান, নিখোঁজের পর আসামী মারুফ আহমদের বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে মামলার ২ ও ৩ নং আাসামী তার সাথে অসদাচারণসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। মিজানুর রহমানের অভিযোগ, মারুফ দুইটি ব্যাংকের কর্মচারীদের সহযোগিতায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এক কোটি এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ‘মারুফকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সংবাদেমইল২৪.কম/এজেএল/এনএস
Posted ৬:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.