করোনার ৪৩ হাজার ভুয়া সনদ দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বৃটেনে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইমেনসা হেলথ ক্লিনিকের ল্যাব থেকে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যখাতভিত্তিক গোয়েন্দাসংস্থা ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অন্তত ৪৩ হাজার মানুষকে করোনা টেস্টের ভুয়া নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইউকেএইচএসএ জানিয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইমেনসা হেলথ ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব থেকে দেওয়া হয়েছে এসব ভুয়া করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।
ইউকেএইচএসএর পাবলিক হেলথ বিভাগের পরিচালক উইল ওয়েলফেয়ার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ওই ল্যাবটিতে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়েছি। এলফডি বা পিসিআর টেস্ট কিটে কোনো সমস্যা আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি।’
বার্মিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এলান ম্যাকন্যালি বলেন, আমি এমন খবরে বিস্মিত হয়েছি। আমি বুঝতে পারছি না, এতো বড় আকারে ভুলটি কীভাবে হলো। এর কারণে করোনার সংক্রমণ দমাতে আমরা অনেকাংশেই ভুল করেছি। এতো বড় ভুল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনা শনাক্তের পরীক্ষায় কী ভুল হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।