দিনব্যাপী জাল ভোট আর সহিংসতার মধ্যে দিয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯৫টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ; চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

১০টি ইউপিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুপুর ২টার দিকে এই সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাতন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন যারা : আলীনগর ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত প্রার্থী আহবাবুর রহমান খান শিশু, চারখাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী, শেওলায় নৌকার প্রার্থী জহুর উদ্দিন, দুবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল উদ্দিন, কুড়ারবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুতিউর রহমান তুতা, মাথিউরায় নৌকার প্রার্থী আমান উদ্দিন, তিলপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, মুড়িয়ায় স্বতন্ত্র (জামায়াতে ইসলামী) প্রার্থী ফরিদ আল মামুন, মুল্লাপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল মন্নান ও লাউতায় স্বতন্ত্র (জামায়াতে ইসলামী) প্রার্থী দেলওয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বিয়ানীবাজারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃখলা রক্ষায় বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।

Comments

comments