
অনলাইন ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
এখন অপরাধ দমন একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। কারণ প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত তাদের অপরাধের ধরন ও মাধ্যম পরিবর্তন করছে। ফলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তাল মেলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা হিমশিম খাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই বেশি সতর্ক ও অভিজ্ঞ হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত তথ্য-ভাণ্ডার সমৃদ্ধ ইন্টিগ্রিটেড ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এবং এটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। এ প্রযুক্তিগত উন্নতি যদি আমরা না ব্যবহার করতে পারি, তাহলে ক্রাইম আরও বাড়বে। ক্রাইম কন্ট্রোলের জন্য বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগত শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন।
জিয়াউল আহসান বলেন, আমরা যে ইন্টিগ্রিটিড সল্যুশনস কাঠামো তৈরি করেছি, এর মাধ্যমে সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করা যাবে।এ ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের ধারণা থাকতেই পারে। অনেকেই মনে করতে পারেন, তার সব তথ্য মনে হয় নিয়ে গেল। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। তবে আমাকে বুঝতে হবে, এ তথ্য যেন কোনো অপরাধ সংঘটিত না করে। তথ্যের সংবরণ ও নিরাপত্তার বিষয়েও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহার র্যাবের সব ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষে ‘র্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপারেশন্স) কর্নেল কেএম আজাদ প্রমুখ। সূত্র: যুগান্তর
Posted ৭:২৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.