স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধু সীমিত সম্পদের মধ্যেই বিমান বাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসলে চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক মিগ টোয়েন্টি নাইন যুদ্ধ বিমান, বড় পরিসরে সি ওয়ান থার্টি পরিবহন বিমান এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার সংযোজন করে।
‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুযায়ী আমরা বিমানবাহিনীকে একটি আধুনিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষমতাসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ‘আপনাদের গড়ে উঠতে হবে একজন দক্ষ ও আদর্শ বিমান সেনা হিসেবে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগৃহীত বিমান,রাডার, যুদ্ধ উপকরণের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদেরকে অধিকতর যত্নবান হতে হবে।’
(০৪ ডিসেম্বর) রবিবার সকালে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বিএএফ বঙ্গবন্ধুকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ প্রদান করেন। বিমান বাহিনী ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই ঘাঁটিটি মিত্র বাহিনীর বিমান পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার নির্দেশে এই ঘাঁটির পুনর্গঠন ও উন্নয়নে গ্রহণ করা হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’ ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে দুটি এয়ার ডিফেন্স রাডার কুর্মিটোলায় স্থাপন হয়। পরে এই ঘাঁটিতে বিমান পরিচালনাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই ঘাঁটিটি ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে এই ঘাঁটিটি বিমান বাহিনীর সর্ববৃহৎ যুদ্ধ বিমান ঘাঁটি।
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষা এবং শত্রু বিমান আক্রমণ প্রতিরোধে এই ঘাঁটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই ঘাঁটিটি ঢাকা তথা বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় মূল ঘাঁটি হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’
গত ৫ বছরে এই ঘাঁটি বিমান বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত পাইলট তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। ‘আগামীতে বাংলার আকাশ সীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গ্রুপ ক্যাপ্টেন রেজা ইমদাদ খানের পরিচালনায় একটি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়।
এছাড়া বিমানবাহিনীর মিগ-২৯, এফ-৭বিজি এবং এফ-৭বিজি১ ফাইটার বিমানের মনোরম ফ্লাইপাস্ট প্রত্যক্ষ করেন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিদেশি কূটনৈতিক, নৌবাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ উচ্চপর্যায়ের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে তাকে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং এয়ার কমোডর এম মফিদুর রহমান স্বাগত জানান।
সংবাদমেইল২৪.কম/ই এ/এনএস
Posted ৩:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.