বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট কিনে আনলে কিংবা দেশের বাজার থেকে অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট কিনলেও এখন আর ব্যবহারকারীকে নিবন্ধন করতে হবে না। সেটটিতে সিমকার্ড ইনস্টল করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি বিটিআরসির এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) ডাটাবেজে নিবন্ধিত হয়ে যাবে। মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে গিয়ে যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়, সে কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে ১ অক্টোবরের থেকে অবৈধ সব চিহ্নিত করে তা বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা চাই না মোবাইল ফোনের নিবন্ধন করতে গিয়ে জনগণের ভোগান্তি হোক। রাজস্ব সংগ্রহের বিষয়টি এনবিআরের। সে কারণে আমরা ফোন বন্ধ করব না। প্রয়োজনে রাজস্ব আদায়ে তাদের সহায়তা করব।
মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে। আমরা দেখেছি, মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন করতে গিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রবাসীরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়, এমন কোনো কাজ আমরা করবো না। তাই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি সিস্টেমে শুধু ডাটাবেজ তৈরি হবে।
অবৈধ ফোনের কী হবে তা জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, অবৈধ ফোন ধরা আমাদের কাজ নয়। এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজ। আমরা আইএমআই ডাটাবেজ তৈরি করে দেবো। প্রয়োজনে এনবিআরকে ডাটাবেজেরে একসেসও দিয়ে দেয়া হবে। এনবিআর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে কোন ফোন অবৈধ। তারা কাগজপত্র চাইলে সেগুলো তাদের সরবরাহ করা হবে।