স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
সিলেট-আখাউড়া রেলরুটের বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন সিগন্যাল বিহীন ও লোকবলের অভাবে ২৪ ঘন্টা কার্যক্রমের মধ্যে ১২ ঘন্টাই বন্ধ থাকে। পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে চলছেন এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এ সমস্যা নিয়ে স্থানীয়রা আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
রেলওয়ে সুত্রে জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের আওতাধীন প্রাচীনতম বরমচাল রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে স্টেশনটির স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। তিন মাস থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টাই কোন দায়িত্বশীল না থাকায় বন্ধ থাকে কার্যক্রম। এই স্টেশন দিয়ে ঢাকা-সিলেট-চট্রগ্রামের আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ও ডেমু, সুরমা মেইল, কুশিয়ারা ও জালালাবাদ ট্রেন গুলো সন্ধ্যা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সিগন্যাল ও লাইন ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
আরো জানা যায়, এই স্টেশনের দায়িত্বরত মাস্টার হাবিবুর রহমান গত ৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করায় সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান ও ইউনুছ আলী (পয়েন্টস ম্যান) দিয়ে কোন রকম ১২ ঘন্টা কার্যক্রম চালু থাকে।
এদিকে সন্ধ্যা হলেই স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটের অন্যান্য ট্রেনগুলো কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনে দাঁড় করিয়ে রেখে ক্রসিং দেওয়া হয়। এ জন্য প্রতিটি ট্রেনের প্রায় ৪০ মিনিট যাত্রা বিলম্ব হওয়ায় সকল ট্রেনের যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে স্টেশনটি বাজারের পাশ্ববর্তী ও সাধারণ চলাচলের রাস্তা থাকায় স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্টেশন এলাকা। তার কারন হচ্ছে সিগন্যাল বিহীন স্টেশন আবার তাও কোন দায়িত্বশীল নেই! যে কোন সময় ট্রেনে কাঁটা পড়ে মৃত্যু হতে পারে স্থানীয় পথচারীদের।
স্থানীয় বরমচাল ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম রাজিব সংবাদমেইলকে বলেন, ‘একটি স্টেশনে যদি স্টেশন মাস্টার না থাকে অর্থাৎ যদি স্টেশন বন্ধ থাকে তাহলে মাঝখানের স্টেশনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে ট্রেন ক্রসিংয়ে দেখা দেয় মারাত্বক সমস্যা। যাত্রীদের চাপ বাড়ে আশপাশের স্টেশনে। এতে করে দেখা দেয় শিডিউল বিপর্যয়।’ স্টেশনটির শূণ্য পদে লোকবল নিয়োগ দিয়ে জনস্বার্থে কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের প্রতি।
এদিকে কুলাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকারকে স্থানীয়রা বার বার অবগত করলে তিনি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অফিসিয়াল চিঠি দেন নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট-আখাউড়া সেকশনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআইসি) নুরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমেইলকে বলেন, রেলওয়ের উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী স্টেশনটির পুরো কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চলছে।
সংবাদমেইল২৪.কম/এন আই/এনএস
Posted ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.