
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গিকার নিতে হবে আমাদেরকে। আত্মত্যাগ করা লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকারও নিতে হবে।
বিশেষ করে যার নেতৃত্বে গোটা জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, বাঙালি জাতির সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ একটি স্বাধীন রাষ্টের মালিক হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমরা স্বাধীন নাগরিক হিসেবে একটি পাসপোর্ট পেয়েছি। আর এই পাসপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা যাতায়াতসহ বসবাস করতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দুর্নীতিমুক্ত ও শোষনহীন সমাজ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উত্তান শুরু হয়েছে, তা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আকড়ে রাখতে হবে।
১৬ই ডিসেম্বর রাতে জয়চন্ডী ইউনিয়ের কামারকান্দি বিজয় যুব সংঘ এবং বিজয়াবাগান মাঠে সবুজ কুড়ি যুব সংঘ কর্তৃক আয়োজিত ৪৮তম মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ।
তিনি আরও বলেন, এই কুলাউড়ায় অনেকই রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্ব করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। কিন্তু আমি নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে আজও মানুষের পাশে আছি। এই উপজেলার মানুষের ভালবাসায়ই আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। দেশ ও বিদেশের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে এলাকার মানুষের ভালবাসায় আজ আমি টিকে আছি। প্রতিদিন শহর ছাড়াও প্রত্যেন্ত অঞ্চলের কোন না কোন এলাকার ছোট-বড় অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রন করা হয়। আমিও আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত হই। কোন কিছু না দিতে পারলেও মানুষের আবেগ ও ভালবাসা দেখে নিজেও আপ্লুত হই। অথচ যাদের কিছুই ছিলনা, রাজনীতির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি হয়ে দূর্ণীতি করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, মানুষকে শোষন করে লুটপাট করছেন, তাদের দিন শেষ। বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে এসব লুটেরাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন।
দেশের তুলনায় উন্নয়নে কুলাউড়া বার বার পিছিয়ে পড়ছে এমন মন্তব্য করে এমএম শাহীন বলেন, আমরা কুলাউড়াবাসী সবসময় ¯্রােতের বিপরীতে থাকি। বিগত নির্বাচনে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে পরাজিত করে এই কুলাউড়াবাসী আবারও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
কুলাউড়াবাসী এমন একজনকে এমপি নির্বাচিত করেছেন যিনি বিগত ১০ বছর কুলাউড়াবাসীর সাথে জন যোগাযোগ ছিলনা। কিন্তু গত নির্বাচনে এসে জনগনকে বোকা বানিয়ে বিজয়ী হয়ে আবার সেই ঢাকায় চলে গেছেন। নির্বাচিত হওয়ার প্রায় এক বছরে মাত্র ৮ দিন কুলাউড়ায় এসেছেন। ঘটনা-দূর্ঘটনা এমনকি একাধিক প্রানহানিও উনাকে (এমপি) কুলাউড়া আনতে পারেনি। যা কুলাউড়াবাসীর জন্য সত্যি লজ্জার বিষয়।
বিজয়া চা-বাগান ব্যবস্থাপক শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠক সৈয়দ সবুজ আহমদের সঞ্চালনায় আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান টুটু, আব্দুল আজিজ শামীম, রাজনীতিবিদ সৈয়দ তফজ্জল হোসেন,ইউপি সদস্য আজমল আলী,বিশিষ্ট দলিল লেখক ও সার্ভেয়ার সোনাওর আলী,রাজনীতিবিদ রুহুল আমিন,মুমিন আহমদ,কাওছার আহমদ বুলবুল প্রমুখ।
Posted ৮:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.