
| রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬ | প্রিন্ট
ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ মাধ্যমটি এখন শুধু তরুণ প্রজন্মই নয় যেকোনো মানুষের কাছেই প্রিয়। তবে বর্তমান সময়ে ফেসবুকে আলাপ থেকে প্রেম, প্রতারণা, অবশেষে আত্মহত্যার মতোও ঘটনা ঘটে। তাই বলে কী ফেসবুকে লগ ইন বন্ধ রাখা যায়? আমরা একটু সচেতন হলেই চিনতে পারবো ফেক প্রোফাইলগুলোকে। আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন ফেক প্রোফাইল:
১. অচেনা কাউকে বন্ধু করার আগে দ্বিতীয় বার ভাবুন। ফ্রেন্ড লিস্টে বন্ধু সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় হুটহাট কাউকে অ্যাড করবেন না। অচেনা রিকোয়েস্ট এলে প্রশ্ন করুন। জানতে চান তিনি কেনো আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠালেন। উত্তর শুনে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলে তবেই অ্যাকসেপ্ট করুন।
২. প্রোফাইল ভালো করে পড়ুন। কী করেন, কোথায় থাকেন, কোথায় পড়াশোনা করেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য আছে কিনা দেখুন। কোনও সংস্থার নাম বা ইউনিভার্সিটির নাম নিয়ে সন্দেহ হলে গুগলে খুঁটিয়ে দেখুন।
৩. বয়স খুব অল্প অথচ নিজেকে প্রফেসর বা সিইও বলছেন, এমন মানুষ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে অবশ্যই ভেবে দেখবেন। প্রোফাইল আকর্ষক করতে এরা অনেক কিছু করে থাকেন।
৪. যাদের প্রোফাইলে বা অ্যালবামে একটিও নিজস্ব ছবি নেই তাদের বন্ধু বানাবেন না। এরা সাধারণত প্রোফাইলে বা অ্যালবামে সেলেব্রিটি কিংবা নানা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি ব্যবহার করে থাকেন। তাই এদের থেকে দূরে থাকুন।
৫. ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসলে লক্ষ্য রাখুন প্রোফাইল মালিকের স্কুল, কলেজ কিংবা অফিসের নামের দিকে। ফেক প্রোফাইলের মালিকরা সাধারণত এই সমস্ত তথ্যগুলো এড়িয়ে যায়। খেয়াল করুন, সন্দেহভাজন প্রোফাইলের মালিকের সঙ্গে তার সহপাঠী বা সহকর্মীদের কোনও ছবি আছে কি না।
৬. ফ্রেন্ডলিস্ট খুঁটিয়ে দেখুন। এনার বন্ধুরা কি বেশিরভাগ স্থানীয়? নাকি বেশির ভাগই বিদেশি? যদি দেখেন বন্ধুরা অধিকাংশই বিদেশি তাহলে অবশ্যই মানুষটা সন্দেহজনক।
৭. টাইমলাইনে গিয়ে পোস্টগুলো খেয়াল করুন। তাতে কারা কমেন্ট করছেন, সেটাও লক্ষ্য রাখুন। তাদের প্রোফাইল কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটাও যাচাই করে নিন। তাদের সঙ্গে প্রোফাইলের মালিকের কেমন সম্পর্ক, বা তারা কী সুবাদে একে অপরকে চেনেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
Posted ৬:৪৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.