
আব্দুল বাছিত বাচ্চুঃ | সোমবার, ২৭ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। এক সকালে সামনের রাস্তা দিয়ে টিনের চুঙা নিয়ে এক ভদ্রলোক যাচ্ছেন। আর কিছুক্ষণ পরপর চিতকার করছেন “জব্বার ভাইয়ের মার্কা নৌকা নৌকা”। আমার কৌতুহল বেড়ে গেলো।
জানতে চাইলে আব্বা বলেন সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী আব্দুল জব্বারের পক্ষে ভোট চেয়ে গেলেন হাজীপুরের রবাই মন্ডল। এভাবে জব্বার ভাই নামের সাথে পরিচয়।
দিন কয়েক পরে তিনি নিজে প্রচারে আসলেন আমাদের কাউকাপন বাজারে। আমার বড় মামীর বাপের বাড়ি ছিলো মিনারমলে। মামী সম্ভবত উনার ফুফাত বা মামাতো বোন। সেই হিসেবে বড় মামা মরহুম আব্দুল আজিজ উনার বোন জামাই। তাই আসেন মামার বাড়িতেও । হায়রে কি হৃদ্দতাপূর্ণ সম্পর্ক। মূলত উনার সাথে আমার এই প্রথম এবং শেষ দেখা। ওই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। পরে দীর্ঘ সময় সিলেটে ছিলাম। লোকমুখে উনার অনেক প্রশংসা শুনেছি।কিন্তু কুলাউড়ার রাজনীতির তেমন খোঁজখবর রাখা হয়নি। ৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রথমে কুলাউড়া আসনের প্রার্থী হিসেবে উনার নাম ঘোষণা করে। আমি ইত্তেফাক পত্রিকায় নিজে পড়েছি। পরে অবশ্য এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে প্রার্থী করা হয়। আর পাস করেন জাপা প্রার্থী নবাব আলী আব্বাস খান।
নির্বাচনের বছর খানেক পর তিনি মারা যান। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই কথা শুনে তিনি হালচাষ করা অবস্থায় মরা গেছেন ।
বিশেষ করে একটু স্বচ্ছল অবস্থা থাকলে যেখানে হালচাষ অমর্যাদাকর ভাবা হতো। সেখানে একজন সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার মারা গেলেন কৃষিজমিতে হালচাষ করাবস্থায়!!!!
ফিল করি আজকের দিনে এমন রাজনীতিবিদের অভাব।
২৮ আগষ্ট মঙ্গলবার উনার ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। হে আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
লেখকঃ চেয়ারম্যান হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। ও সাবেক সভাপতি,কুলাউড়া প্রেসক্লাব।
Posted ১১:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ আগস্ট ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.