
মো: নাজমুল ইসলাম :: | বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
কুলাউড়া-রবিরবাজার প্রধান সড়কের রাউৎগাঁওয়ে অবস্থিত ফানাই নদীর ওপর থাকা একমাত্র স্টীলের বেইলী সেতুটি প্রায় ভেঙে পড়ে। গত ১ বছরে কমপক্ষে ১৫-২০ বার সেতুর ট্র্যানজাম, পাটাতন ও প্লেইট ভেঙে পড়েছে। কতৃপক্ষ জুড়াতালী দিয়ে সেতু সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেও কয়েকদিন পর যানবাহনের চাপে প্রায় বিকল হয়ে পড়ে সেতুটি। এসময় সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও রবিরবাজারের ব্যবসায়ী সহ সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চরম জনদূর্ভোগে পড়েন। সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালের দিকে নতুন করে আবারো সেতুটির পাটাতন ভেঙে পড়ে যায়। এতে ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে উভয় পাশে শতাধিক ছোট-বড় যানবাহনসহ জনসাধারন আটকে পড়ে। বিকল্প হিসেবে অনেক যানবাহন কয়েক কিলোমিটার ঘুরে ব্রাহ্মনবাজার হয়ে গন্তব্যস্থলে পৌছতে হয়। সেতুটি অনেক পুরাতন হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এতদ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কুলাউড়া বিআরডিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, জোড়াতালি দিয়ে লোক দেখানো মেরামত কাজ করার কারণে সেতুতে ঘনঘন ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটছে। এতে করে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এখানে নতুন সেতু নির্মাণ না করা হলে এ পথে সবধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সেতুটি অতিদ্রুত নতুন করে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
রবিরবাজারের ব্যবসায়ী শামস্ আরেফিন কামাল বলেন, উপজেলার শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়কে সেতুটি অনেক পুরাতন ও মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এরমধ্যে প্রায় সেতুটির ট্র্যানজাম, পাটাতন এবং প্লেইট ভেঙে যাওয়ায় পন্যবাহী গাড়ীগুলো অন্য সড়ক দিয়ে বাজারে আসতে হয়। এতে সময় ব্যয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও গুনতে হয় তাদেরকে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুলাউড়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেলেই আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে লোক পাঠাই। নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত এভাবে কষ্ট করে চলতে হবে।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে। অনুমোদন হওয়ার পর আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে সেতুটির নতুন নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.