
এস অালম সুমন | বৃহস্পতিবার, ০৮ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট
প্রাইভেট কোচিং কখনোই বৈধ নয়। আমাদের দেশে এই কোচিং বাণিজ্য অনেক আগে থেকেই ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসেবে চলমান। শুধু আইন করে এটি রোধ করা সম্ভব না। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রথমে অভিভাবকরা সচেতন হতে হবে। সেই সাথে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জারি করা আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, অনেক অভিভাবক আছেন নিজের সন্তান যাতে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয় সেজন্য সন্তানকে প্রাইভেট কোচিং এবং ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট স্কুল ও কিন্ডার গার্টেন কে সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে গ্রহণ করেন। অথচ বর্তমানে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ করে প্রাইমারী শিক্ষা অনেক আধুনিক। নিজের ছোট্ট সন্তানকে শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে প্রাইভেট শিক্ষক কিংবা কোচিং শিক্ষা নির্ভর করে তোলেন। এরপরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গুটি কয়েক শিক্ষক আছেন যারা বিশেষ করে তুলনামূলক কম মেধাবী সেই সকল শিক্ষার্থীদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রাইভেট কোচিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষায় বেশী নাম্বার কিংবা ভালো রেজাল্টের লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন কোচিংয়ে পড়তে। ওই সকল শিক্ষকরা তাদের কোচিং বাণিজ্য চালানোর জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষা পাঠ্যক্রম দায়সারাভাবে চালিয়ে যান। অনেক অভিভাবক বিষয়টি মুখবুঝে সহ্য করেন, কারণ! যদি শিক্ষক ক্ষেপে যান তাহলে সন্তানের রেজাল্ট খারাপ হবে। কোচিং বাণিজ্যের বিষয়ে লিখতে গেলে অনেক কিছু লিখা যায়, শুধুমাত্র কতৃপক্ষের সঠিক তদারকি আর অভিভাবকদের সচেতনতাই কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে পুরোপুরি।
এ দিকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় কুলাউড়া শহরের মাগুরা,দক্ষিণ বাজার, উছলাপাড়া,দত্তরমুড়ি, উত্তবাজার রেল আউটার, সাদেকপুর, শিবির রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় দেদারছে চলছে কোচিং বাণিজ্য। তাছাড়া কোচিং বাণিজ্যের চেয়ে আরেকটি মারাত্মক বিষয় হলো কচুরীপানার মতো গড়ে ওঠেছে প্রাইভেট স্কুল ও কিন্ডার গার্টেন। এসব স্কুলে শিক্ষার্থী যোগাড়ের জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করে অনেকটাই মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট এবং কল অফার এর মত। সেটাও কি এড়িয়ে গেলে চলবে। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা আর শিক্ষা অধিদপ্তরের সঠিক তদারকি সেটি এখন দেখার বিষয়।
লেখক:বার্তা সম্পাদক – সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক।
Posted ৬:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ মার্চ ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.