
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কালেঙ্গা গ্রামে পাষান মা এক বছররে দুধের শিশুকে ফেলে প্রেমিক সালামের সাথে পালিয়ে যাওয়ার আটারো দিন পেরিয়ের গেলেও পুলশি প্রশাসন উদ্ধারের কিছুই করতে পারেনি। দুধের শিশুটি মায়ের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। পুলিশের ভূমকিা নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। সালামের মোবাইল ফোন চালু থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসন তাদেও অবস্থান নির্ণয় করতে পারছে না। বর্তমানে আধুনকি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল টেকিং করে সহজে মোবাইল ব্যবহার কারীর অবস্থান জানা যায় সেখানে পুলশি প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। এতে পুলিশ প্রশাসনের বিরোদ্ধে অবহলো ও গাফলতরি অবিযোগ করছেন সংশ্লীষ্টরা। এদিকে শিশুটিকে নিয়ে বাবা অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করছেন।
এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশতি হওয়ার পরও পুলশি প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এমতাবস্থায় শিশুটির বাবা মিজান মিয়া পত্রিকা অফিসে এসে পুলিশ প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সাংবাদকি ও জন-প্রতিনিধিদের কাছে আকুল আবদেন জানিয়ে বলনে, আমার দুধের শিশুকে বাঁচাতে দুষ্টু সালামরে হাত থেকে তার মা কে উদ্ধার করার জন্য সহযোগতিা চাই। সালমাকে উদ্ধার করে ও অপরাধী সালামকে শাস্তির আওতায় এনে আমার দুধের শিশুটিকে বাঁচাতে সাহায্য করুন।
এদিকে সালমার স্বামী মিজানের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমার স্ত্রী সালমা বেগমের সাথে তার তালতো ভাই সালামের পরিচয় হয়। তার সূত্র ধরে মোবাইলে নিয়মিত কথা চলতে থাকে এক পর্যায়ে তাদরে মধ্যে গভীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। স্বামীর অগোচরে প্রায় সময় সালমার সাথে মেলামেশাও ছিলো সালামের। আমি বিষয়টি টের পেয়ে আমাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় আমাদের আবার ঝগড়া হয়। পরে সালমার আত্মীয় আলী হোসেন, মন্টু মিয়া মিলে মীমাংসা করে দনে।
আরো জানা যায়, পরের দিন ১০ ফেব্রুয়ারী সালমা বেগম স্বামীর অনুপস্থিতে ঘরে রক্ষীত নগদ পচাত্তর হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে শিশুকে বাবার বাড়িতে রেখে সালামের সাথে পালিয়ে যায়। সালমাকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগতিা করেছে শালিকা নাজমা বেগম। মিজান মিয়ার অভিযোগ তার শ^শুর-শ^াশুররি সম্মতক্রিমে প্রেমিক সালাম মিয়ার সাথে নগদ টাকা ও স্বর্ণ সহ তার স্ত্রী পালিয়ে যায়।
মিজান মিয়ার অভিযোগ তার শালকিা নাজমা বেগমের সাথে প্রতিনিয়ত সালাম ও সালমার সাথে যোগাযোগ হয়। সে আরো বলে পুলিশ তার শ^শুর বাড়ির লোকদরেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে। কিন্তু রহস্য জনক কারনে পুলশি তা করছে না।
থানায় ডায়েরি করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরুজ আলী প্রথমে বিষয়টি খুব গুরুত্বরে সাথে নিয়ে সালমা বেগমের পরিবারকে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন সালমাকে হাজির করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে আটারো দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা নিচ্ছেন না।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরুজ আলী বলনে, মিজান মিয়া মিসিং ডায়েরী করেছেন। মিসিং ডায়েরি করার নয় দিন পর তার শ^াশুড়ি তার বিরোদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুকরে অভিযোগ করনে।
মেয়ের খোঁজ মা না জানলে নির্যাতনের ও যৌতুকের দাবির বিষয়ে নয় দিন পর মা কি ভাবে অবগত হলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলনে, মা অনুমানের উপর ভিত্তি করে অভিযোগটি করছেনে। কোনো নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হলে বাবার বাড়েিত আশ্রয় নেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তুু সে নিখোঁজ কেনো এর জবাবে তিনি বলনে, ভিকটিম উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় বার্তা পাঠিয়েছে। তাকে পাওয়া গেলে বিষয়টি জানাযাবে।
উল্লেখ্য, ১০ ফেব্রুয়ারী মিজান মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (২৫) প্রেমের টানে আট বছরের ঘর সংসার ও এক বছরের দুধের শিশুকে রেখে তালতো ভাই সালাম মিয়ার সাথে পালিয়ে যায়।
সংবাদমেইল/জেএইচজে
Posted ৮:১৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.