
বিশেষ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
বিজিবিতে কর্মরত সুবেদার পুত্র ও তাঁর স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বৃদ্ধ পিতা তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ২২ জুন মঙ্গলবার বিকেলে ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পিতা এ সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন। ছেলের ভরণপোষণ তো দুরের কথা উল্টো পুত্রবধুর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বয়োজেষ্ঠ্য এই পিতা। এলাকায় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন সালিশকারীরা।
কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ মো. আব্দুল লতিফের ৪ পুত্র। এরমধ্যে সবার বড় পুত্র বিজিবি ব্রাহ্মনবাড়িয়া ২৫ ব্যাটলিয়নে কর্মরত সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধ মো. আব্দুল লতিফ জানান, উনার ৩৬ শতক সম্পত্তি ৪ ছেলেকে সমানভাগে বন্টন করে দেন। কিন্তু উনার বড় ছেলে বিজিবিতে কর্মরত মো. আব্দুল মোতালেব গত ০৬ এবং ২১ মার্চ বাড়িতে ছুটিতে এসে তার স্ত্রী ছালেমা বেগমকে নিয়ে ৩য় ছেলে মো. আব্দুল হান্নানের বসতঘর সংলগ্ন কিছু জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এঘটনায় টিলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট আমার ছেলে লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১২ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন। বিষয়টি বানচাল করতে সুবেদার মো. আব্দুল মতলিব ও তার স্ত্রী ছালেমা বেগম বাড়িতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। গত ০৩ এপ্রিল কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায়ের নির্দেশে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু সুবেদার মো. আব্দুল মোতালেব নিষ্পত্তিকালে বাড়িতে না আসায় বিচষয়টি নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ আরও অভিযোগ করেন গত ১৯ জুন বিকেলে পুত্রবধু ছালেমা বেগম তাকে মারপিট করেন। তার ছেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার ২১জুন এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, ছেলের এসব অপকর্মের ব্যাপারে গত ০৫ মে এবং ০৪ এপ্রিল বিজিবির মহাপরিচালকের কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ২২ জুন বিকাল ৫টায় সুবেদার আব্দুল মোতালেব মোবাইলে বলেন, আমি ডিউটিতে আছি। পারিবারিক খুঁটিনাঁটি অনেক বিষয়ে আমি জানি না যেহেতু আমি বাড়িতে থাকি না। খোঁজ খবর নিয়ে পরে বিস্তারিত বলতে হবে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে চাইছি না। যেহেতু আমার স্ত্রীর বিষয় সামনে আসছে। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি আগে জেনে নেই। পরে এবিষয়ে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষণ রায় জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৭:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.