
স্টাফ রিপোর্টার | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ | প্রিন্ট
রাজধানীর পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদফতরে রক্তস্নাত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ চৌকশ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংস, বর্বোরোচিত ও নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো রায় পড়া শুরু করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার রায় পড়া শুরু করেন।
দেশজুড়ে বহুল আলোচিত এ মামলার হাইকোট বিভাগের বিশেষ এই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার রায় রোববার সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে পড়া শুরু করেন তিন বিচারপতি।
আদালতের রায় ঘোষণা শুরু করার আগেই বিচারপতি মো. শওকত হোসেন উপস্থিত আইনজীবী ও সাংবাদিকদের জানান, ন্যাক্কারজনক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রায়ের বিষয়ে আমরা তিন বিচারপতি একমত। আশা করি, আজ দুপুরের আগেই আমরা মূল রায় দেয়া শুরু করতে পারব।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যা মামলায় কয়জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে, কয়জন আসামির যাবজ্জীবন বহাল থাকবে, কতজন খালাস পাবেন- এসব দণ্ডের বিষয়ে তিন বিচারপতিই একমত হয়েছেন বলে আদালত জানিয়েছেন। পিলখানা হত্যা মামলার রায় নিয়ে রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে অবহিত করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শুনানি হয়েছে। সোমবার এ মামলার রায় পড়ছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায় যদি পড়া হয়, তাহলে সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, প্রথমে হয়তো আসামিদের অর্ডার পোরশন (আদেশের অংশ) দেয়া হবে। পরে আসামির চূড়ান্ত রায় আসতে পারে। এ মামলাটি পৃথিবীর ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য একটি মামলা বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল বাসেত মজুমদার, মহসীন রশীদ, এস এম শাহজাহান, এ এস এম আবদুল মুবিন, মো. আমিনুল ইসলাম, দাউদুর রহমান মিনা ও শামীম সরদারসহ আরও অনেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের সময় সৈনিকদের হাতে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। বর্বোরোচিত ওই ঘটনার পর ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানার তত্কালীন ওসি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ মামলাটি তদন্ত করেন। তাকে সহযোগিতা করেন পুলিশের ২০০ কর্মকর্তা। প্রায় ৫০০ দিন তদন্তের পর ২০১০ সালের ১২ জুলাই আদালতে হত্যা ও অস্ত্র বিস্ফোরক আইনে দুটি চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। এতে ৮২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে অধিকতর তদন্তে আরো ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে বর্ধিত চার্জশিট দাখিল করা হয়। সব মিলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০ জনে।
Posted ১:২৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.