
বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার কমাতে মাতৃভাষাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। শুধু ভাষাগত সমস্যার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করছে পাহাড়ি শিশুরা।
সোমবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার মাধবপুঞ্জি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় আদিবাসী খাসিয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রব।
কারিতাস সিলেট অঞ্চল,আলোঘর প্রকল্পের উদ্যোগে ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও কারিতাস ফ্রান্স’র অর্থায়নে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিরা পাহাড়ি শিশুদের নিজ মাতৃভাষাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার দাবি জানান।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে কারিতাস আলোঘরের শিক্ষা পরিদর্শক ডনবস্কো খংস্টিয়া বলেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। দুর্গম এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বেশিরভাগ শিশু পাঠ্যবই ও পাঠদানের ভাষা বুঝতে না পেরে ঝরে পড়ছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিহির ঘাগ্রার সভাপতিত্বে মাধবপুঞ্জি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক চলতি মারলিয়া বলেন, মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা খুবই জরুরি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিক্ষক-শিক্ষিকা কেউ নিজেদের ভাষায় লিখতে-পড়তে পারেন না। ঝড়ে পড়ার হার কমানোর ক্ষেত্রে পাহাড়ি শিশুদের নিজ ভাষায় পাঠ্যবই ও পাঠদানের বিকল্প নেই।
সংবাদমেইল২৪.কম/এ রব/এনএস
Posted ৪:৪১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.