
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ | প্রিন্ট
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানি নিরাপত্তাই এ পৃথিবীর মানুষের মর্যাদার্পূণ ও মঙ্গলময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। সে লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, আর তা এ মুর্হূত থেকেই। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বনেত্রীবৃন্দের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বুদাপেস্টে তিন দিনের এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত পানি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ।
বিশ্বজুড়ে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে মিলেনারিস পার্কে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে গঠিত পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ আহ্বান আসে।
তিনি বলেন, “পানি নিরাপত্তাই এ পৃথিবীর মানুষের মর্যাদার্পূণ ও মঙ্গলময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে। সে লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, আর তা এ মুর্হূত থেকেই। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের দর্শণ, সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে পানি। আর এমন এক দেশ এ পানি সম্মেলনের আয়োজন করেছে, সেই হাঙ্গেরি পানি নিরাপত্তার জন্য বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০১৩ সালের বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনই পানি নিয়ে এসডিজির ধারণাগত ভিত্তি দিয়েছে।”
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে পানি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল বৈঠকে ‘কল টু অ্যাকশন’ গ্রহণ এবং পানিকে রাষ্ট্রের সব নীতি ও কাজে অগ্রাধিকার দিতে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানোর কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত দফা প্রস্তাব সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
পানিকে সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশের ভারসাম্যের মৌল ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করে এ সম্মেলনের আয়োজন করায় হাঙ্গেরি সরকারকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মানসম্মত স্যানিটেশন, পানি ও বিশুদ্ধতার অভাবে প্রতি বছর প্রায় পৌনে সাত লাখ মানুষের প্রাণহানি এবং অনেক দেশের জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে ২৪০ কোটি মানুষ উন্নত স্যানিটেশন সুবিধার বাইরে রয়েছে এবং অন্তত ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
সংবাদমেইল২৪.কম/এন আই/এনএস
Posted ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.