
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
ঢাকা: পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন, তাই এখনই সব বলতে চান না নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। পাঁচ বছরের জন্য এসে পাঁচ প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলন শেষ করতে চান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত একটি প্রশ্ন বাড়িয়ে ছয়টি প্রশ্নেই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বিদায় নিলেন সাবেক এই আমলা।
বুধবার শপথ নেয়ার পর কর্মস্থল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিকেলেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন কে এম নূরুল হুদা ও তার অন্য চার সহকর্মী। নির্বাচন ভবনের খোলা লনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শুরুতে একটি লিখিত বক্তৃতা পড়েন নূরুল হুদা। এরপর প্রশ্নের পর্ব আসলে যুগান্তরের রিপোর্টার জানতে চান সামনে তারা কিভাবে কাজ করবেন।
জবাবে নূরুল হুদা বলেন, “প্রথম কাজ হবে আমার কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা দেখব, বুঝব। কী সমস্যা আছে, সেগুলো নির্ধারণ করে এর সমাধান কি হবে, তা প্রণয়ন করা।”
এরপর ইংরেজি দৈনিক নিউজ এজ পত্রিকা, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন আই, অনলাইন নিউজপোর্টাল নিউজবাংলাদেশ.কম, বাংলা দৈনিক প্রথম আলো ও সকালের খবর থেকে ৫টি প্রশ্ন নেন।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান তিনি। সকালের খবরের প্রতিবেদক গোলাম সামদানির প্রশ্নের পর মাইক্রোফোন নিয়ে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি হারুণ-উর রশিদ প্রশ্ন করতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু নূরুল হুদা আর তার প্রশ্ন নেননি। চলে যান সংবাদ সম্মেলন স্থল থেকে।
শুধু বলেন, “আরও তো পাঁচ বছর আছি। এখনই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলে কিভাবে হবে।” এসময় অনেক সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, পাঁচ বছরের জন্য এসে পাঁচ প্রশ্নের ঘুরপাক।
নিউএজ পত্রিকার প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ একটাই—সেটা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া। সে ব্যাপারে কাজ করা, পরিকল্পনা করা। কিন্তু বিষয়টি এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমার সহকর্মীদের আলাপ-আলোচনা করে তারপরে নির্ধারণ করব।”
চ্যালেন আইয়ের শোমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকারের প্রতি আহ্বান, সরকার যেন প্রভাব বিস্তার না করে। সরকারের প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই।”
প্রথম আলোর তায়েবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “জনতার মঞ্চের সঙ্গে তার সম্পৃক্তা ছিল না। এটা ঠিক না। মিথ্যা কথা। আজকে শপথ নেয়ার পর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচনী বোর্ডের দায়িত্বেও ছিলেন না।”
বুধবার দুপুরের পর প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নেয়ার পর বিকেলে সহকর্মীদের নিয়ে আগারগাঁওয়ে নতুন নির্বাচন ভবনে যান নূরুল হুদা। সিইসির কক্ষে তাদের অভ্যর্থনা জানান ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। নির্বাচন কমিশনের পতাকাবাহী গাড়িতে ৪টা ২৫ মিনিটে একে একে তারা কমিশন কার্যালয়ে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ১০:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.