সোমবার ৫ জুন, ২০২৩ | ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

পর্যটক শুন্য মাধবকুন্ড

বড়লেখা প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট  

পর্যটক শুন্য মাধবকুন্ড

দেশের অন্যতম ইকোপার্ক ও প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ডে পর্যটক সমাগম ঘটেনি। ইংরেজি ২০১৬ সালকে বিদায় জানাতে ও ২০১৭ সালকে বরণ করতে গত ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি অন্যান্য বছরের তুলনায় ৫-৬ ভাগও পর্যটকের আগমন না ঘটায় পিকনিক স্পটকে ঘিরে মাধবকুন্ডে গড়ে উঠা ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমে আসে। গত ১৫ বছরে মাধবকুন্ডে এমন ধস নামতে দেখা যায়নি বলে ব্যবসায়ীরা দাবী করেন। অব্যাহত পর্যটক হয়রানীর প্রভাবেই এবার নববর্ষ কিংবা থার্টি ফাষ্ট ডিসেম্বর পালনে ভ্রমণ পিপাসুরা মাধবকুন্ডকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

বিশেষ বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটকের ঢল নামে। গত বছর যেখানে তিল ধারনের জায়গা খোঁজে পাওয়া যায়নি সেখানে এবার অধিকাংশ স্থান প্রায় ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। তবে এবার ঠিক উল্টোটাই গঠেছে। বর্ষবরণে রোববার হাতেগোনা কিছু দর্শনার্থী ছাড়া তেমন পর্যটকের আগমন ঘটেনি এখানে।


ইকোপার্কের গেইট ইজারাদার মমিন আলী জানান, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী মাধবকুন্ডে ২০ হাজারেরও বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে। এবার এই দুইদিনে ২ হাজার পর্যটকও আসেননি।

হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ এনাম আহমেদ ও ইমরান হোসেন জানান, মাধবকুন্ড জলপ্রপাতকে ঘিরে ১০টি হোটেলসহ দুই শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বছরে ৬-৭ দিনের ব্যবসার ওপর সারা বছরের ব্যবসা নির্ভরশীল। ঈদের পরে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি অন্যতম। ওই সময়েই তারা ভালো ব্যবসা করেন। গত ১৫ বছরে এমন পর্যটক মন্দা অবস্থা দেখা যায়নি। কিন্তু এবার এ দু’দিনে আশানুরুপ পর্যটক না আসায় ব্যবসায়ীদের মাঠে মরার অবস্থা হয়েছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী  জানান, স্থানীয় কতিপয় আসাধু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী মাধবকুন্ডে আগত পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানী করে থাকে। আগত পর্যটকরা গাড়ি পার্কিং ইজারাদারের কর্মচারী, হোটেল ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীর দুর্ব্যবহার, হামলা, মারধর ও লুটপাটের শিকার হন। অনেক পর্যটক মাধবকুন্ড বেড়াতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ফিরেছেন। বিশেষ করে দুর দুরান্তের নারী পর্যটকরা নানা হুমকির সম্মুখিন হন। দীর্ঘদিনের পর্যটক হয়রানীর প্রভাবে এবার মাধবকুন্ডে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমাননি। পর্যটক হয়রানীর ব্যাপারে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা কঠোর না হলে মাধবকুন্ডের প্রতি পর্যটকরা স্থায়ীভাবে নিরুৎসাহী হবেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান,রোববার সরকারী অফিস আদালত খোলা এবং বই উৎসব থাকায় নববর্ষে মাধবকুন্ড পর্যটক শুন্য ছিল। তবে থার্টি ফাষ্ট ডিসেম্বর বন্ধের দিনেও পর্যটক শূন্য থাকার বিষয়টির হিসেব তিনি নিজেই মিলাতে পারেননি।


 সংবাদমেইল২৪.কম/এ.জে লাভলু/এনএস
Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৩:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত