
স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে মোঃ মবশ্বির আহমদ নামে এক পরাজিত প্রার্থী এবার টাকা ফেরত চেয়ে স্থানীয় রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাকে ভোট দিবে বলে চেয়ে অনেক জনপ্রতিনিধি বড় অংকের টাকা নিয়ে তাকে ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেছেন। ‘আর এ নিয়ে পুরো উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সচেতনমহলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।’
লিখিত অভিযোগ সূত্র মতে, মো. মবশ্বির আহমদ গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ০৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত টেংরাবাজার, মনসুরনগর, আখাইলকুড়া, চাঁদনীঘাট ও একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে (হাতি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে ১৮টি ভোট পান। ওই ওয়ার্ডে ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আতাউর রহমান (উটপাখি)।
‘পরাজিত প্রার্থী মো. মবশ্বির আহমদ গত ১৯ জানুয়ারি রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ৪ জন সাধারণ সদস্যের বিরুদ্ধে তাকে ভোট দিবে বলে চেয়ে বড় অংকের অর্থ নিয়ে তাকে ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেছেন।’
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন,ভোট দিবেন বলে ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সেলিনা বেগম ৩০ হাজার টাকা, ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ইয়ারুন নেছা ৩০ হাজার টাকা, ৭, ৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. রুপিয়া বেগম ৩৫ হাজার টাকা, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মতিন মিয়া ৫০ হাজার টাকা, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য বিক্রম গৌড় ৩০ হাজার টাকা, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ পাবলু মিয়া ৫০ হাজার টাকা ও ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রিপন মিয়া ৫০ হাজার অর্থ দার নিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, পরাজিত প্রার্থী মবশ্বির আহমদ তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পাশাপাশি এরকম কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন।
স্থানীয় টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. টিপু খান সংবাদমেইলকে বলেন,এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো হাতে পাননি।
সংবাদমেইল২৪.কম/এসএ/এনএস
Posted ৭:১১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.